সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রানীর হাট দ্বি- মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত মাধ্যমিক স্তরের সরকারী বিনা মূল্যের বই কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রানীর হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত সরকারী বিনা মূল্যের বই কেজি দরে বিক্রি করায় ¯’ানীয় লোকজন, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ওই প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবী করেছেন। অবশ্য সরকারী বই বিক্রির খবর পেয়ে, রোববার দুপুরে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন তার অফিসের অফিস সহকারী মাহমুদুল আলমকে পাঠিয়ে ৯০৩ কপি বই জব্দ করে তার অফিসে নিয়ে আসেন। এ দিকে স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে রানীর হাট সিরাজগঞ্জ বাজার দ্বি- মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন বিদ্যালয়ে ছুটির পর বিদ্যালয়ে একাই অবস্থান করেন। পরে তিনি গোপনে ষ্টোর রুমে সংরক্ষিত ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর বিভিন্ন বিষয়ের ১৬৩ কেজি সরকারী বিনা মূল্যের বই বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার পাঁচতলী গ্রামের ফেরিওয়ালা সাব্বির হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন। বিকালে ফেরিওয়ালা সাব্বির হোসেন তার কেনা বই গুলো রানীর হাট বাজারে টং দোকানের সামনে রেখে দেন। আর বাজারে আগত লোকজন সরকারী বই দোকানে দেখতে পেয়ে ফেরিওয়ালা সাব্বির হোসেন কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ফেরিওয়ালা সাব্বির হোসেন তাদেরকে জানান, তিনি তাড়াশের রানীর হাট দ্বি- মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিনের কাছ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে বই গুলো কিনেছেন। আর সরকারী বিনা মূল্যের বই বিক্রি প্রসঙ্গে রানীর হাট সিরাজগঞ্জ বাজার দ্বি- মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন কে জানান, বিদ্যালয়ের অপ্রয়োজনীয় কাগজের সাথে তিনি পুরাতন ওই বই গুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। আর বই বিক্রির টাকায় ছাত্রীদের ব্যবহারের অনুপোযোগী ওয়াস রুম মেরামত করবেন। অপরদিকে সরকারী ওই বই বিক্রির খবর জানা জানি হলে, ওই বিদ্যালয় এলাকার স্থানীয় লোকজন, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক বাবলু, খোরশেদ, খালেক, মতিন সহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবী করেন। সরকারী বিনা মূল্যের বই বিক্রি প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন বলেন, সরকারী বই বিক্রি করা অপরাধ। আমরা বিক্রি করা বই গুলো ইতিমধ্যেই জব্দ করেছি। আর বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।