প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থ অবলম্বনে ‘মুজিব আমার পিতা’ এনিমেটেড চলচ্চিত্র আজ মুক্তি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রযোজিত এবং সোহেল রানা পরিচালিত এনিমেটেড মুভি ‘মুজিব আমার পিতা’ প্রদর্শন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুজিবশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর ড. নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান এসময় চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সাথে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আজকে ৭৫তম জন্মদিনে তার লেখা গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত প্রথম সেন্সর ছাড়পত্রপ্রাপ্ত এনিমেশন মুভি ‘মুজিব আমার পিতা’র মুক্তি জাতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে একটি মাইলফলক। এনিমেটেড মুভি আরো হয়েছে কিন্তু সেন্সর ছাড়পত্রপ্রাপ্ত মুভি এটিই প্রথম।
চলচ্চিত্রকে একটি ক্রমবর্ধমান মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রদর্শনের মাধ্যম থেকে শুরু করে নির্মাণ মাধ্যম সবকিছুই কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে। কারণ পৃথিবীতে গত দুই দশকে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সেইসাথে চলচ্চিত্রেরও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই এনিমেশন মুভিটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন আর শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন, তিনি সারা পৃথিবীকে আলো দেখানো নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। সেই কারণে তাকে জাতিসংঘে এসডিজি অগ্রগতি পদক দেয়া হয়েছে। উন্নয়নে, অর্জনে, সংকটে, সংগ্রামে একটি নাম সেটি হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা হাসলে বাংলাদেশ হাসে। সমগ্র বাংলাদেশ যখন ঘুমায় তখনও শেখ হাসিনা দেশের জন্য জেগে থাকেন।
তাই আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই প্রয়োজন এবং তিনি আরো বহু বছর ধরে আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে যান, সেই প্রত্যাশা আমাদের, বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড না থাকলে আমাদের তরুণরা বিপথে যায়। ২০১৩-১৪-১৫ সালে দেখেছি, যেসমস্ত জেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ব্যাপকতা ছিল, সেখানে মৌলবাদী হাঙ্গামা বেশি হয় নাই। আর যেসমস্ত জেলায় কম ছিল সেখানে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেজন্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কোনো বিকল্প নেই এবং সেটির বড় অনুসঙ্গ হচ্ছে চলচ্চিত্র।
পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার দৃষ্টিতে তার পিতাকে কিভাবে দেখেছেন সেটা নিয়েই তিনি বইটি লিখেছেন এবং সেটার ওপর ভিত্তি করে ছবিটা নির্মাণ করা হয়েছে। আশা করি, এটি জাতির সকলকে অনুপ্রাণিত করবে।