শহীদ জেহাদ দিবস ১০ অক্টোবর। দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকাল ৯টায় রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে শহীদ জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
এ সময় ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, জিএস খায়রুল কবির খোকন, এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম ও বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নাজির উদ্দিন জেহাদ। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরও এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ছাত্রদলের কর্মী জেহাদ ছিলেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নবগ্রামের ছেলে।
এ দিকে শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ জেহাদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে। তার এ মহিমান্বিত আত্মদানের ফলেই স্বৈরশাহী এরশাদের পতন হয়। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্রের বিজয়ে তার অগ্রণী ভূমিকার জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু অগণতান্ত্রিক অপশক্তি নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই। এখন সেই পুরনো স্বৈরাচার বর্তমান নাৎসিবাদের সাথে মিলেমিশে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। স্বৈরাচারের দোসররা এখন ক্ষমতাসীন নাৎসিদের মিত্র। শাসকগোষ্ঠীর চক্রান্তের কূটিল খেলায় গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমান দুঃসময়ে নিষ্ঠুর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে কঠিন সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করবে শহীদ জেহাদের আত্মদান। যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে তিনি সেদিন স্বৈরাচারীর বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন, সেই স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের আজকের সংগ্রামের মূল লক্ষ্য। আর তাতেই শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের আত্মা শান্তি পাবে।’