আফগানিস্তানে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা তালেবান সরকারকে সমর্থন দিয়ে সেখানে বাংলাদেশের দূতাবাস খুলতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, সেখানে যারা দ্রুত যাবে তাদেরই লাভ। গতকাল সোমবার সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগ’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ইঙ্গ-মার্কিন প্রচারণা এবং আফগানিস্তান প্রশ্নে তালেবান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা: জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের উচিৎ তালেবানকে মেনে নিয়ে তাদের সমর্থন দেয়া। কারণ আমাদের স্বার্থ আছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের ভালো স্বার্থ আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি আজ তালেবানকে বয়কট করি তবে প্রশ্ন জাগে, আমরা কেন পশ্চিমাদের কথায় পরিচালিত হব? আমরা আমাদের নিজের চিন্তাধারায় পরিচালিত হব। আমি বলবো, এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে এক লাখ বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান হবে।’ তিনি বলেন, আমি মনে করি তালেবানকে দ্রুত সমর্থন দেয়া দরকার। যারা দ্রুত যাবে তাদের লাভ। তাদের সমস্ত কিছু আমরা মেনে নিব, তা না। তাই আমি সরকারকে বলবো, এখনি তালেবানকে সমর্থন দিয়ে সেখানে আমাদের দূতাবাস খোলা উচিৎ। ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্বের ইসলামোফোবিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছে ভারত। ভারত মিথ্যাচারে তাল দেয়ায় ওস্তাদ। পশ্চিমা মিডিয়ার ইসলামোফোবিয়া আমাদের ভুল পথে চালিত করে। অপপ্রচার হয়েছিল আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় এলে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করবে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা কয়জন মানুষকে হত্যা হয়েছে?’ তবে তালেবান বিজয়ের ফলে ভারতের সমস্যা হবে মন্তব্য করে ডা: জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বড় সমস্যাটা হলো ভারতে বিভক্তি হবে। আজকে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীরা বুঝবে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করা যায়। অর্থাৎ আজকে কাশ্মিরের মুক্তির আন্দোলনটা বেড়ে যেতে পারে।’
অধ্যাপক ডা: লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাহমান চৌধুরী। আলোচনায় আরো অংশ নেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি প্রফেসর দিলারা চৌধুরী ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম।