অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী। নৃত্যশিল্পী হলেও নিয়মিত নাটক সিনেমায় অভিনয় করতেন। মাঝে অনেকটা সময় অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। এখন আবার নিয়মিত হচ্ছেন। স¤প্রতি ‘অসমাপ্ত চা’ শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে চলচ্চিত্রটি। এ চলচ্চিত্রে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে চাঁদনী বলেন, ‘চা নিয়ে এর গল্প। আমি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছি। সংসার জীবনের নানা ঘটনা এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে দেখা যাবে। স্বামী চা খেতে পারে না। এ নিয়ে বিভিন্ন রকমের ঘটনা ঘটে। এভাবেই গল্পটি এগিয়েছে। ভিন্ন ধরনের একটি গল্পে কাজ করেছি। আশা করছি, দর্শকের পছন্দ হবে।’ অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাঁদনী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান ব্যস্ততা নাচ নিয়ে। এখন নিজেই কোরিওগ্রাফি করছি। স¤প্রতি শিল্পকলা একাডেমির বেশকিছু কাজ পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়া স¤প্রতি ‘অসমাপ্ত চা’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এটি আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে।’ বতর্মান সময়ের নাটক-সিনেমা নিয়েও কথা বলেছেন চাঁদনী। তিনি বলেন, ‘যারা অভিনয়ে আসতে চান, তাদের মঞ্চশিক্ষার বিকল্প নেই। বাংলা উচ্চারণ ভালো করে শিখতে হবে। আর আমরা নাটক-সিনেমার মাধ্যমে যেটা জানাতে চাই- সেটি পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে। এখন অনেক নাটকেই দেখি, গল্পের কোনো মিল থাকে না। গল্পটি সঠিকভাবে পর্দায় উপস্থাপন করতে হবে। গল্পেও বাস্তবতার অভাব আছে। সময়ের পরিবর্তনে সবাই একদিকে দৌঁড়াচ্ছেন। কারো ভিন্নতা আনার চেষ্টা নেই। ঘুরেফিরে একই গল্প।’
বর্তমান সময়ের নাটকে অনেক পাত্র-পাত্রীর উচ্চারণে সমস্যা রয়েছে বলে মনে করেন চাঁদনী। তিনি বলেন, ‘সবাই প্রেমের গল্পে সীমাবদ্ধ। প্রেমের গল্প থেকে আমরা বের হতে পারছি না। প্রতিটি গল্পে একটি বার্তা দেওয়া উচিত। আমার এক নাটকের চরিত্র কখনোই অন্য নাটকের সাথে মিলেনি। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি, বেছে বেছে কাজ করার। আমাদের নাটকে উচ্চারণের বড় ঘাটতি রয়েছে। উচ্চারণে আরো নজর দেওয়া দরকার। আমরা যে অঞ্চলের ভাষা নাটকে ব্যবহার করি না কেন, তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ভাষাকে ব্যঙ্গ করা যাবে না।’