রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে বিএনপির নেতা কর্মীদের কাজ করতে হবে বনশ্রী আফতাব নগর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি বাবলু পন্ডিত, সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৫তম সভা মহানগরী জোন আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের কৃতিত্ব স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজ ৮৯তম জন্মবার্ষিকী নগরকান্দায় দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ওসি, সাংবাদিকসহ আহত- ৩০ কালীগঞ্জে নানা সংকটে গ্রাম আদালত সুফল পেতে প্রয়োজন কার্যকরী উদ্যোগ কটিয়াদীতে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন, ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ মুন্সীগঞ্জে লুন্ঠিত মালামালসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বর্ণিল পিঠা উৎসব

স্বপ্ন মশাল যাদের হাতে, তাদের স্বপ্ন কী

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ক্রিকেট বিশ্বকে উন্মাদনায় ভাসাতে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ধুম-ধারাক্কা লড়াইয়ের এবারের মঞ্চ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কয়েক ঘণ্টার পর শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে গতকাল রবিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ওমানে প্রাথমিক রাউন্ডে মাহমুদউল্লাহদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওমান, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনি। শুরুটা হচ্ছে স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে। এই মিশন শুরুর আগে নিজেদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ১৫ ক্রিকেট যোদ্ধা-
মাহমুদউল্লাহ: আমাদের সফল হতে হলে অবশ্যই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। অবশ্যই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুত ম্যাচের মোমেন্টাম পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ফলে প্রতিটি বলেই সতর্ক থাকতে হবে। সবকিছু ছাপিয়ে আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। আর অধিনায়ক হিসেবে আমি চাই বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করতে। আগের ছয় বিশ্বকাপে যা পারিনি, আমি চেষ্টা করবো সেটি অর্জন করতে।
সাকিব আল হাসান: ওমান ও আরব আমিরাতে আমাদের ভালো করা উচিত। কন্ডিশনটা আমাদের কাছে অপরিচিত না। আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে ভালো করেছি আমরা। আমার কাছে মনে হয়, কন্ডিশন নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। যেটা হচ্ছে, দল হিসেবে ভালো করতে হবে। বিশ্বকাপ ঘিরে পরিকল্পনা তো আছেই। তবে দলগত পরিকল্পনা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কী হলে দল ভালো করতে পারবে, সেটা নিয়েই বেশি ফোকাস।
মুশফিকুর রহিম: আমরা যতবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলি না কেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ। কারণ আমরা ধারাবাহিক ভালো করছি টি-টোয়েন্টিতে। অবশ্যই এটা সহজ নয়। তবে আমি মনে করি যে, এটা সঠিক সময় এবং সেরা সময়। যেহেতু শেষ তিনটা সিরিজে আমরা জিতেছি। দুটো হোমে এবং একটা অ্যাওয়েতে। এটা অনেক বড় একটা আত্মবিশ্বাস আমাদের দল হিসেবে।
লিটন দাস: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চ্যালেঞ্জ। এখানে নির্ভার থাকার কোনও সময় নেই। প্রত্যাশার জায়গা থেকে যেটা বলবো দলের ভালোর চেয়ে বড় কিছু নেই। দলকে জেতানোর মতো জায়গায় নিতে ভূমিকা রাখার চেয়ে বড় কিছু নেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো দল হতে গেলে ওপেনিংয়ে শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে। আমি চেষ্টা করি, পাওয়ার প্লে-তে ভালো একটা স্ট্রাইক রেট নিয়ে শেষ করতে, যাতে দলের উপকারে আসে।
সৌম্য সরকার: ভালো করবো নাকি খারাপ করবোÍ সেটা এখনই বলতে পারবো না। আমি চাই প্রসেস ঠিক রেখে ব্যাটিং করতে। আশা করছি, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে পারফেক্টভাবে প্রস্তুত করে মাঠে নামার সুযোগ পাবো। হয়তো পুরনো বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগতে পারে। তবে এটা সত্য, পুরনো ম্যাচের পরিসংখ্যান বা ইতিহাস নতুন ম্যাচে কোনও ভূমিকা রাখে না। যেহেতু আমার দ্বিতীয় (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ, আমি চাইবো এবার যেন ভালো হয়। আমি যেন আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি। স্বপ্নও দেখি ভালো ভালো ইনিংস খেলার। অন্তত কিছু ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে চাই।
নাঈম শেখ: আমার লক্ষ্য একটাই- যত ম্যাচ খেলবো, সব ম্যাচেই দলকে জেতাতে অবদান রাখবো। ম্যাচ খেললে যেহেতু আমি টপ অর্ডারে ব্যাটিং করবো, আমাকে তাই ভালো শুরু এনে দিতে হবে। আমার ভাবনা তাই পরিষ্কার, ভালো শুরুর মাধ্যমে দল যেন উপকৃত হয়। স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমি স্বাভাবিক খেলার চেষ্টাই করি। আগেও বলেছি, মিরপুরের কন্ডিশনে কোনও ব্যাটারকে জাজমেন্ট করা ঠিক হবে না। এই মুহূর্তে এতটুকুই বলতে পারি, আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে বিশ্বকাপের পর কথা বলবো।
নুরুল হাসান সোহান: শেষ কয়েক বছর বাইরে থাকার পর একটা জিনিস অনুভব করেছি- ভবিষ্যৎ ও অতীত নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। এখন আমি অতীতে কী করেছি কিংবা ভবিষ্যতে কী করবো- এইসব নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবি না। দুটো জিনিস অনেক গুরুত্বপূর্ণÍ একটি হচ্ছে প্রসেস, অন্যটি হার্ডওয়ার্ক। ‘ওটা হবে নাকি ওটা হবে’ আমি এভাবে চিন্তা করতে চাই না। জাতীয় দলে খেলি কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলিÍ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রসেসগুলো ঠিক হচ্ছে কিনা সেগুলো মেইনটেইন করা। আমি বিশ্বকাপে কাপে তাই ওটা করবো সেটা করবো এইসব নিয়ে ভাবছি না। প্রসেসগুলো ঠিক রাখাই আমার লক্ষ্য।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন: আইপিএলে মিডিয়াম পেসাররা খুব ভালো করেছে। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা সাফল্য পাচ্ছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাসের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। উনি তো আমাদেরও অ্যানালিস্ট। তার থেকে আইডিয়া নিয়ে আমার মতো করে অনুশীলন করছি। সফল হবো কী হবো না, সেটি নিয়ে ভাবছি না। আমি আমার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে যেহেতু আরব আমিরাতে খেলা হবে, পুরোপুরি মিরপুরের মতো উইকেট না হলেও কাছকাছি মানের উইকেটের দেখা পাবো বলে মনে হয়।
শামীম হোসেন: প্রথম বিশ্বকাপে অনুভূতিতো ভিন্নরকম হবেই। তবে রোমাঞ্চিত না হয়ে আমি আমার কাজটা ঠিকমতো করতে চাই। সাধারণত আমি ব্যাটিংয়ে নেমে সুযোগ পাবো কম। বেশিরভাগ সময় ব্যাটিংয়ে যেতে হয় ১৫ ওভারের পর। ব্যাট হাতে ইনিংস শেষ করে আসার লক্ষ্য থাকে আমার।
শেখ মেহেদী হাসান: না খেলেও যদি দূর থেকে কিছু করতে হয়, সেটাও দেশের জন্য করতে হবে। এটা আমার জন্য বাড়তি চাপ না, তো আমি যদি এ জায়গায় মানসিকভাবে শক্ত থাকি, নিজের কাছে শক্ত মনে করে জিনিসটা সাবলীলভাবে করতে পারি, তাহলে আমার জন্য ভালো হবে। এটা করে আমি যদি টিমকে কিছু দিতে পারি, টিম লাভবান হবে।
আফিফ হোসেন: বিশ্বকাপ নিয়ে সেভাবে কিছু ভাবিনি। সহজ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবো, চেষ্টা করবো দলে অবদান রাখতে।
তাসকিন আহমেদ: ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঠিক আছে, ওগুলো তো সবই অতীত। বর্তমানটাই ফোকাস করতে চাই। যেগুলো হাতে আছে, সেসব ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে চাই। এটাই আমার পরিকল্পনা। প্রসেসের বাইরে একদমই যেতে চাই না। আমার জন্য ওমান ও দুবাইতে খেলাটা একদম নতুন হবে। তাই আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। যদি সুযোগ পাই, ভেতরে যা আছে সব উজাড় করে পারফরম্যান্স করবো। এটা তো টি-টোয়েন্টি, এখানে গ্যারান্টি দেওয়া কঠিন। কিন্তু আমি যে সেরাটা ডেলিভারি করবো, তার নিশ্চয়তা দিতে পারি।
মোস্তাফিজুর রহমান: খেলা তো আর মুখে হয় না, মাঠেই খেলতে হয়। আমি মুখ দিয়ে বলে ফেললাম, অধিনায়কের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো আর সেটি হয়ে গেলো! বিষয়টি তো তেমন নয়। আমাকে অবশ্যই প্রসেস অনুযায়ী যেতে হবে। সবকিছু ঠিকমতো হলেই কেবল আমি সফল হবো। আমি আমার সামর্থ্য-অভিজ্ঞতা দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। জানি না কতটুকু করতে পারবো। আমাকে নিয়ে আমার দেশের মানুষ অনেক আশা করে আছে। অবশ্যই আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। অবশ্যই চাইবো দেশের জার্সিতে এমন কিছু করতে, যেটাতে দল সাফল্য পায়।
শরিফুল ইসলাম: বিশ্বকাপ খেলাটা আমার জন্য দারুণ রোমাঞ্চের ব্যাপার। দুই বছরের মাথায় আমি বড়দের বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। আমার কাছে এটা অন্যরকম অনুভূতি। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আর বড়দের বিশ্বকাপে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এখানে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ। আশা করি, চ্যালেঞ্জগুলো নিতে পারবো। বিশ্বকাপে অনেক বড় বড় ব্যাটারদের বিপক্ষে আমাকে বোলিং করতে হবে। তো ভালো বোলিং না করলেও উইকেট নেওয়া কঠিন হবে। আমার ড্রিম উইকেট বিরাট কোহলি। ভারতের বিপক্ষে সুযোগ পেলে তার উইকেটটি নিতে চাই।
নাসুম আহমেদ: সাকিব ভাই আর আমি যদি একসঙ্গে খেলার সুযোগ পাই, সেটি হবে আমার জন্য দারুণ ব্যাপার। আমরা যদি দুজন একসঙ্গে খেলি, প্রতিপক্ষ আমাদের মধ্যে যেকোনও একজনকে নিয়ে পরিকল্পনা করবে। বেশিরভাগ সময় সাকিব ভাইকে নিয়েই তাদের মাথাব্যথা থাকে। শেষ সিরিজগুলোতে দেখেন সাকিব ভাই খেলেছে, কিন্তু উইকেট আমি পেয়ে গেছি। সাকিব ভাই তো বিশ্বের এক নম্বর স্পিনার। তাকে পরিকল্পনা করে খেলতে গিয়েই আমাকে উইকেট দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। আমরা দুজন যদি খেলি, এটা আমার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com