নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে পুঁজি করে নোয়াখালী জেলা বিএনপি অঙ্গও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের গণগ্রেফতার ও পুলিশী হয়রানির প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে নোয়াখালী জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার রশিদ কলোনির বিএনপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে (সাবেক এমপি শাহজাহানের বাসার চতুর্থ তলার হল রুমে) এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়াদার বিএসসি,সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্যাহ বাহার হিরন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি এ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, দুর্গাপুজায় কুমিল্লার পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় চৌমহনী সহ নোয়াখালী জেলার কয়েক স্থানে হিন্দু ধর্মালম্বী সম্প্রাদয়ের পুজামন্ডপে একদল উগ্রবাদী হামলা করে লুটপাট,ভাংচুর এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তাৎক্ষণিক জাতীয়ভাবে এবং স্থানীয়ভাবে ঘটনা নিন্দা জানায়, এবং এ বিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আহবান জানান। সরকার প্রথম থেকে উক্ত বিষয়ে উদাসীন, সরকারের সামগ্রিক কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হয় যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টা এই পরিকল্পিত ঘটনার অবতারণা করেন। কারণ উক্ত ঘটনাকে পুঁজি করে যেভাবে বিএনপি নেতাকর্মীকে মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে সরকারের আচারণে তা স্পষ্ট। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সর্বদাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। ধর্মীয় সহিংসতা নিয়ে ইতিমধ্যে নোয়াখালীতে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। প্রত্যেকটি মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার সময় অনেকেই এলাকায় ছিলেন না। বেগমগঞ্জের ঘটনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব বরকতউল্লাহ বুলুকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। শেষে বক্তরা, অনতিবিলম্বে ধর্মীয় সহিংসতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধ করাসহ অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।