চাহিদা এবং লাভ বেশী হওয়ায় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে শসা চাষে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে দেখা গেছে প্রায় প্রত্যেক মাঠেই কমবেশি শসা চাষ হচ্ছে। মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে উপজেলার ১’শ ৪০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে শসা, লাউ, শিম, পাতা কপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামের কৃষক আজাদ মোড়ল জানান- বেশ কয়েক বছর জমিতে শসা চাষ করছেন। বাজারে শসার ব্যাপক চাহিদা এবং লাভজনক হওয়ায় চলতি মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছেন। সাড়ে তিন মাসে শসা বিক্রির উপযোগী হয়। জমি তৈরি করে বীজ লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই চারা গজিয়ে যায় বলে তিনি জানান। এরপর পরিচর্যা, সেচ, সার ও মাচা করতে হয়। দেড় মাস পর ফুল-ফল আসা শুরু করে। বিঘাপ্রতি প্রতিদিন ১৬০/২০০ কেজি করে শসা তোলা যায়। বিঘাপ্রতি শসা চাষে খরচ হয় ৩০-৪০ হাজার টাকা। এবার ৫ বিঘা জমিতে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকার শসা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
বাগোয়ান গ্রামের শসা চাষি নায়েব আলী জানান- প্রতিবছরের ন্যয় এবারও তিনি ছয় বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনু ক’লে থাকলে বিঘাপ্রতি ৭০-৮০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদি। শসাচাষ শেষে ওই জমিতেই রবিশস্য হিসেবে গম, মশুরি, মাসকলাই চাষ করবেন বলে জানান।
মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর, বিশ্বনাথপুর, কোমরপুর, মহাজনপুর, বাবুপুর, আনন্দবাস, রশিকপুর, দারিয়াপুর, গৌরীনগর, যতারপুর, গোপালপুরসহ স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখানকার শসা রপ্তানি করা হচ্ছে।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান খাঁন জানান- চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শসার ভাল ফলন হয়েছে। বাজারে শসার চাহিদা থাকায় চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। শসাসহ নিরাপদ ও বিষমুক্ত বিভিন্ন সবজি চাষ স¤প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।