বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
শ্রীমঙ্গলে বৃষ্টি হওয়ায় চা-বাগানগুলোতে নতুন প্রাণের সঞ্চার চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাফল্য আনবে বরিশালের প্রীতমের আবিষ্কৃত রোবটিক আর্ম ফরিদপুরে বেশিরভাগ কেন্দ্রই ফাঁকা! ঈশ্বরগঞ্জে মাটির নিচ থেকে প্রাচীন রৌপ্য মুদ্রা উদ্ধার জগন্নাথপুরে কৃষকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ধান কিনতে লটারি ধামরাইয়ে দপ্তরি দিয়ে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ মাদরাসা প্রধান মুফতি মাওলানা বশির আহমদ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত আবদুল জলিল এক অসহায় ভ্যানচালকের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আকুতি কোন প্রার্থী প্রশাসনের নয়, প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে দেশের জনগণ-জেলা প্রশাসক

বেড়েছে ভোজ্য তেল, মসুর ডাল এবং সবজির দাম

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ভোজ্য তেল, মসুর ডাল এবং সবজির দর। কিছুটা কমেছে মুরগি, পেয়াঁজ ও কাঁচা মরিচের দাম। তবে তাতে খুব একটা স্বস্তি ফেরেনি বাজারে। এদিকে ইলিশের সরবরাহ বড়লেও দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরণের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বেগুন ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০, এবং টমেটোর কেজি ১২০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন সবজির সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়তি। দেশি মসুর ডালের দামও বেড়েছে কেজিতে ১০টাকা। আর সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা লিটার দরে। তবে কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচের দাম। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা করে যা এক সপ্তাহ আগে ছিলো ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। কক মুরগির দামও প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা করে। বাজারে পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে। দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা করে যা গত সপ্তাহে ছিলো ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়া, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়। বিক্রেতা এবং আড়ত মালিকের অনেকেই বলছেন, অনেকটা কমে গেছে পেঁয়াজের দাম। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ, পেঁয়াজের দাম এখনো বাড়তিই আছে। বাজারে কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। তবে চলতি মাসের শুরুতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বেড়ে ২০০ টাকা কেজি হয়েছিল। এদিকে ইলিশের সরবাহ বাড়লেও দাম এখনো চড়া। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাশির মাংশ।
রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। সেইসঙ্গে কমেছে মুরগির দামও। তবে বেড়েছে ডিমের দাম। আর বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, পূজার সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে বাজারে পেঁয়াজের অভাব নেই। দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজ পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। এ কারণে এখন পেঁয়াজের দাম কমছে। অস্বাভাবিক কিছু না হলে সামনে দাম আরও কমবে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি এবং লাল লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কমার বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. শহিদুল বলেন, মাঝে বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কিছুটা কমে গিয়েছিল। এখন আবার বাড়ছে। এ কারণে দামও কমতে শুরু করেছে। আমাদের ধারণা সামনে ব্রয়লার মুরগির দাম আরও কমবে।
পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা ডজনের ডিম কিনতে এখন ক্রেতাকে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা গুনতে হচ্ছে। হঠাৎ ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে হাজীপাড়া বৌ বাজারের ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতিবছর এ সময় ডিমের দাম বাড়ে। এবারও সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া মুরগির দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এটাও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা আগের মতোই সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর ও টমেটো। মানভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ দুই সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও। শীতের আগাম সবজি শিম গত সপ্তাহের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়শ, পটল, করলার দাম খুব একটা হেরফের হয়নি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ৫ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আলম শেখ বলেন, সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে। শীতের কিছু আগাম সবজি বাজারে এসেছে। দিন দিন এগুলোর সরবরাহ বাড়ছে। তবে শীতের সবজি পুরোপুরি বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা কম।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com