ষড়ঋতুর দেশে এখন চলছে হেমন্ত কাল। আর হেমন্ত মানেই শীত আসার পূর্বাভাস। হেমন্তের রাত শেষে হিমেল হাওয়া ও সকালে ঘাসের ডগায় শিশিরের কণা যেন শীতের আগমনী বার্তা। কয়েক দিন ধরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা সূর্যোদয়ের সময় থেকেই হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। সঙ্গে আছে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ। পৌষ ও মাঘ মাস আসতে এখনো এক মাসের বেশি সময় বাকি। এরই মধ্যে ধনবাড়ী তে দিন দিন বেড়ে চলছে শীতের অনুভূতি। এই শীতের রাতে মানুষের সঙ্গী হবে লেপ-তোশক। এই মৌসুমকে কেন্দ্র করে তাই ধনবাড়ী উপজেলায় কদর বেড়েছে লেপ-তোশক ও এর সঙ্গে জড়িত কারিগরদের। ধনবাড়ী উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার প্রায় সর্বত্রই কারিগরেরা নতুন লেপ-তোশক তৈরি করছেন। এর মধ্য রয়েছেন মৌসুমি কারিগরেরাও। ধনবাড়ী বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেশি। তুলা পিটিয়ে তা রং-বেরঙের কাপড় দিয়ে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা। লেপ-তোশকের দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার তুলার দাম একটু বেশি। কালার তুলা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, মিশালি ২০, সিম্পল ৭০, শিমুল ৭০০ টাকা ও সাদা তুলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় লেপ-তোশকের দাম বেড়ে গেছে। মাঝারি মানের লেপ বানাতে খরচ পড়ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। তোশক বানাতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। তবে তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোশকের দাম কমবেশি হয়। প্রতিদিন একজন কারিগর ৬ থেকে ৮টি লেপ তৈরি করতে পারেন। তাই অর্ডার নিলেও যথাসময়ে ডেলিভারি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। লেপ-তোশক কিনতে আসা হানিফ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে লেপ-তোশক বানাতে বেশি টাকা লাগছে। আগে বানাতে এক হাজারের মতো টাকা লাগত। এখন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা লাগে। বিক্রেতারা বলছেন সবকিছুর দাম বাড়ায় তাই একটু দাম বেশি নিচ্ছেন। কি আর করা? সামনে শীত, লেপ-তোশক বানাতেই হবে। ধনবাড়ী পৌরশহরের শান্তি বেডিং স্টোর এর মালিক শামসুল আলম বলেন, দোকানের কারিগরেরা দিনরাত পরিশ্রম করে লেপ-তোশক তৈরি করছেন। বেশ কিছু অর্ডার আছে। প্রতিদিনই আরও নতুন অর্ডার আসছে। তা ছাড়া তৈরি করা লেপ-তোশক কিনতেও প্রতিদিন ভিড় করেন ক্রেতারা।