বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১

বাংলাদেশের আশা যা একটু ছিল কাগজে-কলমে। শেষ দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে পারলে, সঙ্গে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র হিসাব মিলে গেলেই কেবল অসাধ্য সাধন হতো। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হলো না। লজ্জার ব্যাটিং পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে এক ম্যাচ থাকতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলো টাইগারদের। আবুধাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৬ উইকেটে হেরেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ৩৯ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে প্রোটিয়ারা সেমির পথে দিয়ে ফেলেছে এক পা। হাতে মাত্র ৮৪ রান। বোলারদের মিরাকল কিছুই করতে হতো। শুরুটা অবশ্য দারুণই করেছিলেন তাসকিন-মেহেদিরা। ৩৩ রান তুলতেই প্রোটিয়াদের ৩ উইকেট তুলে নেন তারা। তাসকিন এই ম্যাচে দারুণ বোলিং করছেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন এই গতিতারকা। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রিজা হেনড্রিকসকে (৪)। এরপর ২২ রানের একটি জুটি হয়েছিল কুইন্টন ডি কক আর ভ্যান ডার ডাসেনের মধ্যে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সেই জুটিটি ভাঙেন শেখ মেহেদি। ১৫ বলে ১৬ করা ডি কককে বোল্ড করেন এই অফস্পিনার। পরের ওভারে তাসকিনের আবারও আগুনে বোলিং। ওই ওভারে প্রথম তিন বলে এক রান দেওয়ার পর চতুর্থ বলে দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে এইডেন মার্করামকে পরাস্ত করেন তাসকিন। অনেকটা ভেতরে ঢুকে যাওয়া বল বুঝতে না পেরে ব্যাটটাই হাত থেকে ছুটে যায় মার্করামের। হতে পারতো হিটউইকেট কিংবা ইনসাইডেজে ক্যাচ। বেঁচে যান মার্করাম। তবে পরের বলটিতে তাসকিন আর বাঁচতে দেননি প্রোটিয়া ব্যাটারকে (০)। এবার তার দারুণ ডেলিভারি ঠিক টেস্টের মতো ডিফেন্স করতে গেলে বল চলে যায় স্লিপে। সুযোগ হাতছাড়া করেননি নাইম শেখ। শেষদিকে এসে ভ্যান ডার ডাসেনকে (২৭ বলে ২২) আউট করে পরাজয়ের ব্যবধান একটু কমিয়েছেন নাসুম আহমেদ। মিডঅনে অনেকটা দৌড়ে এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন তাসকিন। একটি করে উইকেট মেহেদি হাসান আর নাসুম আহমেদের। এর আগে আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ৩৪ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। অথচ ওপেনিং জুটিতে ইতিবাচকই মনে হচ্ছিল নাইম শেখ আর লিটন দাসকে। সেই ইতিবাচকতা অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি।
২২ বলে ২২ রানের জুটি গড়েই সাজঘরের পথ ধরেন নাইম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে কাগিসো রাবাদাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ হন এই ব্যাটার (১১ বলে ৯)। পরের বলে আউট সৌম্য সরকারও। রাবাদার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারি মিস করে প্যাডে লাগে বাঁহাতি এই ব্যাটারের। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন সৌম্য। এরপর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু মুশফিক আরও একবার হতাশাই উপহার দিয়েছেন। নিজের আগের ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট পাওয়ায় রাবাদার হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম দুই বল কোনোমতে সামলান মুশফিক। কিন্তু তৃতীয় বলে ঠিকই উইকেট দিয়ে আসেন।
রাবাদার বাউন্সি ডেলিভারি তাল সামলাতে না পেরে ব্যাট ছুঁইয়ে দিয়ে স্লিপে হেনড্রিকসের ক্যাচ হন মিস্টার ডিপেন্ডেবল (৩ বলে ০)। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এরপরও ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল থামেনি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৯ বলে ৩) মুশফিকের মতোই বাউন্সি ডেলিভারির ফাঁদে পড়েন। অ্যানরিচ নর্টজের শর্ট বল টাইগার দলপতির গ্লাভস ছুঁয়ে যায় স্লিপে মার্করামের কাছে। আম্পায়ার আউট দিলে কী মনে করে যেন শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার গ্লাভসে লেগেছে। এমন বিপর্যয়ের মধ্যেও পরের ওভারের প্রথম বলেই আত্মঘাতী শট খেলতে যান আফিফ হোসেন ধ্রুব। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে হিট করতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হন এই তরুণ। বাংলাদেশের ইনিংসে গোল্ডেন ডাকের খাতায় যোগ হয় আরেকটি নাম। লিটন একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। অবশেষে তার উইকেটটিও তুলে নেন তাবরেজ শামসি। নিজের প্রথম ওভারে এসেই লিটনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন প্রোটিয়া স্পিনার। ৩৬ বলে লিটনের ২৪ রানের ধীরগতির ইনিংসটিতে ছিল কেবল একটি বাউন্ডারি। এরপর তিন ওভার উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ২০ বলে ১১ করে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মারতে গিয়ে হন শামসির দ্বিতীয় শিকার। শেষদিকে শেখ মেহেদি হাসানের ২৫ বলে ২ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ২৭ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোমতে ৮৪ পর্যন্ত যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে হয় অলআউট। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অ্যানরিচ নর্টজে। মাত্র ৮ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। কাগিসো রাবাদাও ৩ উইকেট শিকার করেন ২০ রানের বিনিময়ে।
পিছন ফেরে দেখা: মেহেদী হাসান বল হাতে নিয়ে কুইন্টন ডি ককের কাছে মার খান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার। অবশ্য এক বল বিরতি দিয়ে এই স্পিনারের কাছে উইকেট হারান তিনি। ১৫ বলে তিন চারে ১৬ রান করা ডি কককে বোল্ড করেন মেহেদী। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদ আবার ব্যাটিং অর্ডারে আঘাত করেন। পঞ্চম বলে এইডেন মার্করাম রানের খাতা না খুলে স্লিপে মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ হন। প্রথম ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের সাফল্য: প্রথম ওভারেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের শেষ বলে এলবিডাব্লিউ হন রিজা হেনড্রিকস। ৬ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। দুই বল আগে ৪ মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার।
একশও করতে পারেনি বাংলাদেশ: হারানো মর্যাদা রক্ষা করতে পারল না বাংলাদেশ। বরং আরো বিবর্ণ দশা তাদের। মাত্র ৮৪ রানে অলআউট তারা। ইনিংস সেরা ২৭ রান করেন মেহেদী হাসান। ২৪ রান করেন লিটন দাস। এছাড়া কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া শামীম হোসেন পাটোয়ারী (১১)। কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নর্টিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন।
৮৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ: ৭৭ রানে ৮ উইকেট নেই বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে একশ করা নিয়েই সংশয়ে তারা। তাসকিন আহমেদ ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হন ৩ রান করে। টেম্বা বাভুমার থ্রোয়ে ৫ বল খেলে বিদায় নেন তিনি। পরের বলে বাংলাদেশের একমাত্র ছক্কা মারেন মেহেদী হাসান। কিন্তু সেই ঝড় ওখানেই শেষ। পরের ওভারে আনরিখ নর্টিয়েকে ফিরতি বলে ক্যাচ দেন। ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ইনিংস সেরা ২৭ রান করেন তিনি। শরিফুল ইসলাম শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন। তাকে খেলারই সুযোগ দেননি নাসুম, প্রথম বলেই বোল্ড। বিশ্বকাপ অভিষেকে শামীমের ১১ রান: যুব বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারী বিশ্বকাপে অভিষেক স্মরণীয় করতে পারলেন না। টি-টোয়েন্টিসুলভ মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের নাম কুড়ালেও খেললেন ধীরগতির ইনিংস এবং মাত্র ১১ রানেই বিদায় নিলেন। ২০ বল খেলে নেই একটিও চার-ছয়। তাবরাইজ শামসির বলে লং অনে কেশব মহারাজের ক্যাচ হন শামীম। পাঁচ জনের পর লিটনের বিদায়: লিটন দাসও দুঃসময়ে বাংলাদেশকে পথে তুলতে পারলেন না। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এই ওপেনার দলীয় ৪৫ রানে বিদায় নিলেন। ৩৬ বলে ১ চারে ২৪ রান করে তাবরাইজ শামসিকে উইকেট দেন লিটন। এলবিডাব্লিউ হন তিনি, রিভিউ নিয়েও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি।
৩৪ রানেই নেই পাঁচ ব্যাটসম্যান: বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটির অর্ধেক ব্যাটসম্যানই ফিরে গেলেন ৩৪ রানের মধ্যে। পাঁচ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর পর ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের কাছে বোল্ড আফিফ হোসেন। ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে এসে বড় শট খেলতে যান, টাইমিং হয়নি। ভেঙে যায় স্টাম্প। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্যের মুখ দেখলেন আফিফ।
৩ রানে মাহমুদউল্লাহর বিদায়: ২৪ রানে ৩ উইকেট যাওয়ার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে পারলেন না। অষ্টম ওভারের শেষ বলে আনরিখ নর্টিয়ের শিকার হলেন ৩ রান করে। প্রোটিয়া পেসারের বাউন্স মাহমুদউল্লাহর গ্লাভস ছুঁয়ে পয়েন্টে বল মার্করামের হাতে ধরা পড়ে। ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
পাওয়ার প্লেতে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ: কাগিসো রাবাদার তোপে পড়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ বলের ব্যবধানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠান প্রোটিয়া পেসার। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ২৮ রান করে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিজের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ নাঈমকে (৯) রিজা হেনড্রিকসের ক্যাচ বানান। পরের বলে সৌম্য সরকারকে এলবিডব্লিউ করেন রাবাদা। ষষ্ঠ ওভারে আরেকবার বল হাতে নিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার বানান মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়ে। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২৪-৩!
হ্যাটট্রিক না হলেও রাবাদার তৃতীয় শিকার মুশফিক: আগের ওভারের শেষ দুই বলে নাঈম ও সৌম্য সরকারকে আউট করে হ্যাটট্রিকের কাছে ছিলেন কাগিসো রাবাদা। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বল মুশফিকুর রহিম ঠেকিয়ে তাকে হ্যাটট্রিকবঞ্চিত করেন। কিন্তু প্রোটিয়া পেসার ঠিকই তাকে তৃতীয় শিকার বানান। তার এক্সট্রা বাউন্সের বলে শট নেন মুশফিক। ওই ওভারের তৃতীয় বলে গালিতে দাঁড়ানো রিজা হেনড্রিকস দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। যদিও বল হাতে মুঠোবন্দি করার পর মাটিতে লাগার সন্দেহ জাগে আম্পায়ারদের, তাই রিভিউ নেন তারা। শেষ রক্ষা হয়নি মুশফিকের, ৩ বল খেলে শূন্য রানে বিদায়।
অন হ্যাটট্রিক রাবাদা: বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের ইঙ্গিত। মোহাম্মদ নাঈম ক্যাচ আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এলবিডাব্লিউ হলেন। কাগিসো রাবাদা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ দুই বলে পরপর দুটি আউট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে। প্রোটিয়া পেসারের বল সৌম্যর বুটে লাগলে আম্পায়ার আপিলে সাড়া দেননি। রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দেখা গেছে, বল সৌম্যর বুটে লেগে অফ স্টাম্পে হিট করত। আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত পাল্টান। তাতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান প্রথম বলেই বিদায় নেন।
৯ রানে বিদায় নাঈমের: মোহাম্মদ নাঈম ইনিংসে প্রথম বড় শট খেললেন মিডউইকেটের দিকে। স্লো পিচে শট ঠিকমতো হলো না। রিজা হেনড্রিকস ক্যাচ নিলেন। কাগিসো রাবাদা ভাঙলেন ২২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১১ বলে এক চারে ৯ রানে ফিরে গেলেন নাঈম।
দ্বিতীয় ওভারে লিটনের চার: শুরু হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের চতুর্থ ম্যাচের খেলা। নতুন বলে কেশব মহারাজের ওভারে ৪ রান নেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদাকে বাউন্ডারি মারেন লিটন। পরের ওভারে মহারাজ দ্বিতীয় চার হজম করেন, এইডেন মার্করামের পায়ের নিচ দিয়ে বাউন্ডারি মারেন নাঈম। শামীমের বিশ্বকাপে অভিষেক, মোস্তাফিজ বাদ: বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে জয়ের খাতা খুলতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের আমন্ত্রণে আবু ধাবিতে আগে ব্যাটিংয়ে তারা। যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার শামীম হোসেন পাটোয়ারীর আজ বড়দের বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে। সাকিব আল হাসানের জায়গায় খেলবেন তিনি। এছাড়া বিবর্ণ মোস্তাফিজুর রহমানকে বাদ দিয়েছে দল। তার পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে নাসুম আহমেদকে। একাদশে দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুল আছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেছেন, ‘আমরা যতগুলো উইকেটে খেলেছি তার চেয়ে ভিন্ন লাগছে এই উইকেট। দেখে মনে হচ্ছে পেসাররা ভালো সুবিধা পাবে।’ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে তারা। হারানোর কিছুই নেই বাংলাদেশের। তবে অঘটন ঘটিয়ে মাথা উঁচু করার সুযোগ তাদের সামনে। আর ইংল্যান্ড ম্যাচ সামনে রেখে সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখার লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার। ফেভারিট হয়ে আবু ধাবিতে মাহমুদউল্লাহদের মুখোমুখি তারা। তিন ম্যাচের দুটি জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা জয়ের মধ্যে আছে তারা। টানা তৃতীয় জয় পেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের পথ মসৃণ হবে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হতাশাজনক হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চায় বাংলাদেশ। যদিও সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে গত ম্যাচেই। শেষ ম্যাচ তারা খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ১৮.২ ওভারে ৮৪ (শরিফুল ০*, নাসুম ০, মেহেদী ২৫, তাসকিন ৩, শামীম ১১, লিটন দাস ২৪, আফিফ ০, মাহমুদউল্লাহ ৩, মুশফিক ০, সৌম্য ০, নাঈম ৯) দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৩.৩ ওভারে ৮৬/৪ (বাভুমা ৩১*, মিলার ৫*, ফন ডার ডুসেন ২২, মার্করাম ০, ডি কক ১৬, হেনড্রিকস ৪)




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com