কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আসন্ন ২নং জগতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো.মজিবুর রহমান-এর উন্নয়নের জোয়ার। এর আংশিক তথ্য তুলে ধরা হলো যেমন- বিগত ২০১৬ ইং সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আ.লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা’র স্বাক্ষরিত নৌকার মনোনয়ন পেয়ে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ২নং জগতপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান-এর কাছ থেকে জগতপুর ইউনিয়নবাসী বিগত দিনে যে সকল সেবা পেয়েছেন, তাঁর আংশিক তথ্য তুলে ধরা হলো।শপথ গ্রহণ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মো.মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান-এর রাজনীতি ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক, কর্মযজ্ঞের তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদনটি পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো- যেমন ২নং জগতপুর ইউনিয়নের রাস্তা,ঘাট মেরামত ও নতুন রাস্তা, ঘাট, ব্রীজ নির্মাণ, সিসি ঢালাইয়ের রাস্তাসহ বিভিন্ন উন্নমন মূলক কাজ সর্বোচ্চ সংখ্যায় বেশী হয়েছে মজিবুর রহমানচেয়ারম্যান-এর সময়ে।এসকল কাজের তথ্য নি¤েœ উল্লেখ করা হলো যেমন-কেশবপুর গ্রামের পূর্বপাড়া বড় সড়ক থেকে ওমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এলজিইডি রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের জন্য বহু সুপারিশ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সংস্কারের ব্যবস্থা করেন তিনি। যদিও এটি তাঁর আওতাভুক্ত রাস্তা ছিল না।কিন্তু ২ নং জগতপুর ইউনিয়নের সর্ব এলাকার প্রবেশ পথ হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা ছিল,যা বহু বছর যাবত বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিলো।এছাড়া গাজীপুর থেকে জগতপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা! এই রাস্তা দিয়ে গর্ভবতী মহিলা ও জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে এলজিইডি অন্তর্ভুক্ত রস্তাটির জন্য কুমিল্লা-২ আসনের সাংসদ সেলিমা আহমাদ মেরী(আইপি)-র মাধ্যমে অন্যান্য ইউনিয়নের রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে সুপারিশ করে জনগণের দুর্ভোগ কমাতে খুব দ্রুতই প্রকল্পটি অনুমোদন করিয়েছেন মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। খুব অল্প দিনের মধ্যেই এই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।বহু চেয়ারম্যান- এর আমল গেলেও ওমরপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে সরাসরি চাঁনপুর গ্রামের রাস্তাটি করতে না পারলেও এই রাস্তাটির নির্মাণের ব্যবস্থা করেন মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। অল্প সময়ে সরকারি অনুদান এনে খুব টেকসই ভাবেই রাস্তার মাটি ভরাট করে আপাতত যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে তুলেছেন তিনি। জগতপুর ইউনিয়নের অনেক বছরের ঐতিহ্য স্বনামধন্য বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি কেশবপুর গ্রামে অবস্থিত।সারা বছর অসংখ্য ছাত্রীর যাতায়াত পথ হিসেবে ডাবুরভাঙ্গা থেকে একটি সংযোগ সড়ক ‘যা সম্পূর্ণ বেদখলে ছিল।তা উদ্ধার ও আ. লীগ সরকারের প্রণোদনার মাধ্যমে পুনঃনির্মাণ করেন মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।বৃহত্তর সাগরফেনা, কানাইনগর, তুলাকান্দি ও কেশবপুর গ্রাম গুলোর সরাসরি সংযোগ স্থাপনে ও অসংখ্য মানুষের নিত্যদিনের যাতায়াতের লক্ষ্যে ও দূরত্বে থাকা গ্রামগুলো থেকে সহজেই কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধার্থে কেশবপুর পূর্বপাড়া থেকে সাগরফেনা পর্যন্ত একটি দীর্ঘতম রাস্তা নির্মাণ করেন মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। যা কোন চেয়ারম্যান-এর আমলে নির্মিত হয়নি।জনগণের সুবিধার্থে এই রাস্তায় একটি ব্রীজ নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেন তিনি।এছাড়া বাতাকান্দি বাজার থেকে শুরু করে জগতপুর ইউনিয়নের উজিরাকান্দি,ভাটিপাড়া গ্রামসহ জগতপুর ইউনিয়নে অসংখ্য ঈদগাহ,বাসা-বাড়ি, মসজিদ মূল রাস্তার সাথে সংযোগ রাস্তার নির্মাণ করেন ইউনিয়নবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে। ছোট-মাঝারি নতুন রাস্তা নির্মাণ ও নির্মিত রাস্তার সিসি ঢালাই করনের বেশী কাজ হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান-এর সময়ে। জগতপুর ইউনিয়নবাসীর সুবিধার্থে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।এসকল পাকা ঘাটলা, রাস্তা, স্কুল-মাদ্রাসা, কবরস্থান ও ঈদগাহ-এর সামনে এবং রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে অসংখ্য সোলার ল্যাম্প লাইট।জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন সরকারি সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ডে। বিধবা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার জন্য জগতপুর ইউনিয়নের স্বাধীনতার সময় থেকে এপর্যন্ত ভাতা প্রদানের কার্ডের আগের তুলনায় সংখ্যা কয়েক শত গুণ বৃদ্ধি করেন মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। যার সুফল ভোগ করছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের বিধবা,প্রতিবন্ধী ও বয়স্করা। বিশ্ব ব্যাপী প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংকট কালীন সময়ে তাঁর উদ্যোগ ছিল প্রশংসনীয়।এই মহামারি সময়কালে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন খেটে খাওয়া দিনমজুর, সিএনজি, অটোরিকশা চালক,চা দোকানদার ও অসহায় নি¤œ আয়ের মানুষদের আর্থিক সাহায্য সহায়তা দিয়েছেন এবং নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন ত্রাণ ও প্রণোদনার মাধ্যমে তাঁদের সহযোগিতা করেন মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।ইউনিয়নবাসীর সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ২নং জগতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মজিবুর রহমান যদি পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে, ইউনিয়নের বাকী উন্নয়ন মূলক কাজ করার সুযোগ পাবেন।এছাড়া যেসকল রাস্তাগুলো বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,সেই রাস্তাগুলোর পরিমাপ বৃদ্ধি করা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করাও তাঁর একান্ত পরিকল্পনা আছে বলেও জানা গেছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেমন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাঁর-ই ধারাবাহিকতায় সকল সুবিধা ও সুফলতা যাতে জগতপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাঁর সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান করবেন বলেও জানা গেছে। তাহলে এই স্লোগানের পরিপূর্ণতা পাবেঃ “গ্রাম হচ্ছে শহর, আসছে আলোর প্রহর”। আসন্ন ২নং জগতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে জগতপুর ইউনিয়নবাসীর সুবিধার্থে বাকী কাজ গুলো করবো ইনশাল্লাহ।তিনি জগতপুর ইউনিয়নবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।