রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ অপরাহ্ন

রাঙ্গামাটিতে কলেজ শিক্ষার্থীর ‘হত্যার’ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

মোঃ আক্কাস রাঙ্গামাটি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১

রাঙ্গামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণিমা চাক্মা হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার পক্ষ হতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ০৩/১১/২০২১ ইং সকাল ১০.০০ টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ মামুনুর রশীদ মামুনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজি মজিবুর রহমান মুজিব ও মহা সচিব আলমগীর কবির। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, সহ-সভাপতি কাজী জালোয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদা আক্তার। বক্তরা বলেন গত (শুক্রবার) ২৯ অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গামাটিতে পূর্ণিমা চাক্মা(১৯) নামে এক কলেজছাত্রী স্বজাতি কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাক্মা জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নং দুমদুম্য ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বগাহালি এলাকার সাধন চাক্মার মেয়ে। সে রাঙ্গামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পূর্ণিমা চাক্মা রাঙ্গামাটি শহরে রাজবাড়ি এলাকায় এক প্রভাবশালী জেএসএস সন্তু গ্রুপের নেতার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি যে বাসায় ভাড়া থাকেন সেই বাড়ির মালিক জেএসএস সন্তু গ্রুপের নেতা। বাসার মালিক কৃর্তক বারবার যৌন হয়রানি হয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ঐ বাসার মালিক আত্মগোপেন রয়েছে। পূর্ণিমা চাক্মাকে যৌন হয়রানি ও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে ও অভিযোগ পাওয়া যায়। পূর্ণিমা চাক্মা ধর্ষণের কথা প্রকাশ করে দিবে বলাতে তাকে হত্যা করে তার লাশ ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং পরবর্তীতে ঘটনার দামাচাপা দিতে আবার চিকিৎসার জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। যা থেকে সবাই বুজে পূর্ণিমা চাক্মা আত্মতহত্যা করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়। এদিকে পূর্ণিমা চাক্মার দরিদ্র পরিবারের উপর আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনের প্রবল চাপের মুখে পরিবারের সদস্যরা মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার সংগঠন সহ যারা নারী নির্যাতনের বিষয়ে ও উপজাতিদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার সবাই এখন চুপ, কোন প্রতিবাদ করেনি। মেয়েটি চাক্মা সম্প্রদায়ের। তাদের রাখাইন রাণী ইয়ান ইয়ান সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন পিএস বিল্ডিং অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পেয়েছেন। পাহাড়ের যেকোনো নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সোচ্চার?। তবে তিনি সেই সব অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হন যেখানে অভিযুক্ত হিসেবে বাঙালি ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হয়। কিন্তু তার বাড়ির পাশে, তারই প্রজা পূর্ণিমা চাক্মা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে চাক্মা রাজার রাখাইন বউ ইয়ান ইয়ান কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। খুঁজে পাওয়া যায়নি বাসন্তি চাক্মা, বাঞ্ছিতা দেওয়ান, নিরুপা দেওয়ান, সুস্মিতা চাক্মা, ডলি প্রু চৌধুরীর মত মানবাধিকার নেত্রী দের। ফলে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে আজ। বক্তরা জোর দাবী জানিয়ে বলেন, পূর্ণিমা চাক্মার লাশের সঠিক ময়নাতদন্ত করে, সত্য ঘটনা উন্মোচন করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। সে সাথে বাসার মালিক ধর্ষক ও হত্যাকারী জড়িত জেএসএস সন্তু সন্ত্রাসীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com