যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে তাদের (মোকিম ও ঝড়ু) আইনজীবীদের আপিল দুইটি একসঙ্গে শুনানি করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। ‘আপিল নিষ্পত্তির ৪ বছর আগেই দুই আসামির মৃত্যুদ- কার্যকর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) যে বিষয়টি নিয়ে পত্র- পত্রিকায় দেখলাম, আজকে সে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, আসামি জেল থেকে যে আপিল দায়ের করেছিল, সে আপিলের নাম্বার ছিল ০৩/২০১৬। যে আপিলটি সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর রায়ের মাধ্যমে খারিজ করে দেন।’
‘কিন্তু আসামিদের দায়ের করা আরেকটি আপিল যেটা গতকাল তালিকায় (আপিল বিভাগে) ছিল। সমস্যা হয়েছে কী সংবিধান সংশোধনের ফলে আপিলগুলোর লিভ পিটিশন (আপিল শুনানির অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি হয় না, সরাসরি আপিল হয়। যার কারণে ওই আপিলটা পড়েছিল। কিন্তু তাদের আইনজীবীদের উচিত ছিল দুইটা আপিল একসঙ্গে শুনানি করা বা আদালতের দৃষ্টিতে নিয়ে আসা। যেহেতু তারা আদালতের দৃষ্টিতে আনেননি, সেই কারণে তাদের যে জেল আপিলটা ছিল, সেটা সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্টে শুনানি হয়ে ডিসমিস (খারিজ) হয়। তারপর তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন করলেন, সেটাও খারিজ হলো। তারপর স্বাভাবিকভাবেই দ- কার্যকর হলো।’
দুইটি আপিল আবেদনের একটি নিষ্পত্তি হলেও পড়ে থাকা অন্য আপিল আবেদনের প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আর এই যে আপিলটা ছিল, এটা যেহেতু আলাদা রয়েছে, এটা যেহেতু ট্যাগ করা হয়নি, এই কারণে রয়ে গেছে। তাদের বিচার তো হয়ে গেছে। আদালত সবকিছু শুনেই খারিজ করেছেন।’ এখানে গ্যাপ কীভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো অ্যানালগ সিস্টেম, ডিজিটাল হয়নি। আমি মনে করি, আইনজীবীদের দায়িত্ব ছিল, এটি আদালতের নজরে আনা যে, জেল আপিলের সঙ্গে আরেকটা আপিল রয়েছে। যে ঘটনার আমরা প্রায়ই সম্মুখীন হই।’
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, জেল আপিল আসে না। তখন সাত দিন সময় দেওয়া হয়। আশা করছি, সিস্টেম ডিজিটাইলেজশন করা হচ্ছে, এ সমস্যা আর থাকবে না। মূলত পাঁচটা আপিল থাকলেও রায় তো একটাই হবে। সব গুনাগুন দেখেই আদালত রায় দিয়েছেন।’ ফাঁসি কার্যকরে আইনের কোনও ব্যত্যয় হয়নি বলেও তিনি জানান।এখন অবশিষ্ট আপিলটি অকার্যকর হয়ে গেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।