কানাডায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘কানাডা বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় লাভজনক স্থান। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্যাকেজ সুবিধা দিচ্ছে। বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতাও সহজ করা হয়েছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যেমে বিনিয়োগকারীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।’ গত বৃস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাতে কানাডার সাসকাটসিওয়া প্রভিন্স সরকারের ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার জেরিমে হেরিসন এবং কৃষিমন্ত্রী ডেভিড মেরিটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব ইকোনমিক জোনে পৃথিবীর অনেক দেশ ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। কানাডার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।’ টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। কানাডার বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। কৃষিক্ষেত্রেও কানাডা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী কানাডায় শিক্ষাগ্রহণ করছে। কানাডা শিক্ষা ও কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে পারে।’ কানাডার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি এবং পরিবেশ বেশ ভালো। বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের বিষয়ে কানাডা বেশ আগ্রহী।’
এসময় সাসকাটসিওয়া প্রভিন্স সরকারের ডেপুটি ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার জোডি ব্যাংক, গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ভিসচার, বাণিজ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, কানাডার ওটটাওয়া বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (বাণিজ্য) সাকিল মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।