১৪জন ছাত্র দিয়েই ৩০ জনের টাকা তুলছেন বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠী আম্মানিয়া এতিমখানার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক। তবে অনিয়ম দূর্নীতির পিছু ছাড়ছেনা মাদ্রাসাটির। বেশ কয়েক বার জাতীয় ও বরিশালের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় মাদ্রাসার অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হলেও সমাজ সেবা কতৃপক্ষের সেই কোন ভূমিকা। স্থানীয়দের প্রশ্ন র্দীঘ দিন বন্ধ ছিলো মাদ্রাসাটি। বর্তমানে ১৪ জন ছাত্র রয়েছে। এতিম নেই বলেই বলা যাচ্ছে। তার পরেও কি ভাবে ৩০ জন এতিমের নামে সরাকারী বরাদ্দ পায়। সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে , সরকারী ক্যাপিটেশন প্রাপ্ত এতিমখানায় ৩০ জন এতিমের বরাদ্দ নিতে হলে সেই মাদ্রাসায় ৬০ জন এতিম থাকতে হবে। না হলে তিনি বরাদ্দ পাবে না। কিন্তু কর্নকাঠী এতিমখানায় তার উল্টো। ১৪ জন ছাত্রের জন্যই সমাজ সেবা অফিস থেকে ৩০ জনের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসায় গিয়ে জানা গেছে, ১৪ জন ছাত্রের মধ্যে মাত্র ৬ জন এতিম। বাকিরা পাশ্বের মাদ্রাসায় পড়ে। সেই সুবাধে এতিমখানায় থাকছে। তবে এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক গনি সরদার তিনি স্থানীয় বিএনপির নেতা বলে অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করছেনা। স্থানীয়দের দাবি কোন বিএনপির নেতা অথবার কোন প্রভাবশালী ব্যাক্তি যেন এতিম শিশুদের রিজিক নষ্ঠ না করতে পারে সে জন্য সমাজ সেবা অফিসকে ভালো ভাবে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ জানায় তারা। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক গনি সরদার তিনি বিএনপির নেতা। এবার এলাকায় চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন। এতিমখানার দিকে তার কোন নজর নেই বলেই বলা যাচ্ছে। নির্বাচনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে এমিখানা। উল্লেখ্য, কর্ণকাঠী আম্মানিয়া এতিমখানা একটি আদর্শ সেবামুলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৫ সালে স্থাপিত হয়। যার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর বরিশাল-৩। সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন এই এতিমখানাটি মাওলানা আনছার উদ্দিন প্রতিষ্ঠা করেন। বং তার বাবা মৃতঃ আলহাজ্ব গোলাম সহিদ সরদার তিনি এতিমখানা ও তার পাশ্বে অবস্থিত মাদ্রাসার জন্য জমি দান করেন। কিন্তু তার ছেলে আনসার উদ্দিন সরদারকে বাদ দিয়ে একটি নতুন কমিটি করে করে নেওয়া হয়। এবিষয়ে অভিযুক্ত এতিমখানাটির সাধারন সম্পাদক গনি সরদারের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিরি রিসিভ করেননি। বরিশাল সদর উপজেলা সামজসেবা কর্মকর্তা বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।