শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন

বাজার গরম করছে শীতের সবজি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১

শীত এসে গেছে। বাজারে চলে এসেছে শীতের সবজি। কিন্তু ঠান্ডার পরিবর্তে বাজারে যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে শীতের সবজি। খুলনা শহরের খুব কাছ থেকে সবজিগুলো বাজারে আনা হলেও শুধু পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে সবকিছুতে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই খুলনার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজিতে হাত দেওয়া যায় না। ভোজ্য তেলের বাজারেও কোনো সুখবর নেই। চিনির মূল্যও ঊর্ধ্বমুখী। দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক দোকানি এখন বেশকিছু পণ্য বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। খুলনা নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, শীতকালীন সবজি ফুলকপি একশ টাকা ও সীম ৮০ টাকা, বিট কপি ৮০ টাকা ও বাধাকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে মুলা ৪৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, লাউ (প্রতি পিস) ৩০-৩০ টাকা, মিষ্টিু কুমড়া ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৩০ টাকা, কচু ৭০ টাকা কেজি দরে ও পালং শাক ৩৫ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হয়। সেসময় প্রতিলিটার তেলের দাম ৮০ টাকা ছিল। বর্তমানে তা প্রতি লিটার বোতল ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর খোলা (লুজ তেল ) বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
বাজারে ঘাটতির অজুহাতে ৪০ টাকার চিনি এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট চিনি ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুলনার জোড়াকল বাজারের বিক্রেতা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক পণ্য এখন দোকানে তুলছি না। বিশেষ করে তেল, চিনি ও আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় তা এখন ক্রেতারা খুব বেশি কিনছেন না বলেও জানান তিনি। নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডের মুদি দোকানি মো. শহীদুল ইসলাম জানান, গত ১৫ দিন ধরে ভোজ্যতেল ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আবারও তেলের দাম বাড়বে বলে তেল বিপণন কোম্পানীর লোক জানিয়েছেন। খুচরা তেল একই দামে বিক্রি করছেন।
ময়লাপোতার সন্ধ্যা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হামিদ, সিরাজুল ইসলাম, মোকাদ্দেস হোসেন জানান, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে শীতকালীন সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। আগে পণ্য পরিবহন করতে যেখানে এক টাকা করে লাগত এখন সেখানে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া শীত আসার আগে যে বৃষ্টি হয়েছিল তখন ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এখন যে সবজি পাওয়া যাচ্ছে তা পরে লাগানো। বাজারে তেমন সবজির আমদানিও কম। আমদানি বাড়লে দাম পড়তে পারে। ওই বাজরের আরেক ব্যবসায়ী মোসা. জামেলা খাতুন জানান, মূলত ঢাকার চাহিদার ওপরে আমাদের খুলনার বাজার দর নির্ভর করে। ঢাকায় যদি মালের চাহিদা বেশি থাকে তাহলে এখানে বাজরদর চড়া হয়। শুক্রবার বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা সেলিম আল আজাদ জানান, বাজারে সবকিছুর দাম একটু বেশি। এ সময় শীতকালীন সবজির দাম কম থাকে। এ বছর দেখছি ভিন্ন। ৪০ টাকার নিচে কোনো জিনিসে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। দাম বেশি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com