শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

খবরপত্র:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাঁকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাঁকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা, ১১ নভেম্বর
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোছা. কামরুন্নাহার। তিনি ১১ নভেম্বর চার বছর আগে রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেওয়া হয়। মোছা. কামরুন্নাহার রায় ঘোষণার সময় নির্দেশনা দেন, ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়। বিচারকের এমন নির্দেশনা বা পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা। প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। আদালতের এ নির্দেশনা সংবিধান ও ন্যায়নীতির পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে গতকাল শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘একটি কথা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি ওনার (বিচারক) রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। কিন্তু ওনার (বিচারক) অবজারভেশনে ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়, এই যে বক্তব্য উনি দিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ বে আইনি ও অসাংবিধানিক। এ কারণে আমি আগামীকাল (রোববার) প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য একটা চিঠি লিখছি। কাল (রোববার) চিঠি দেওয়া হবে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com