শেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জেলা জজকোর্টের আইনজীবি এড. শাহ্ নুর রহমান রুবেল কর্তৃক নিরীহ অসহায় পরিবারকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে জমি বেদখলের পাঁয়তারা ও আইনী সহায়তা থেকে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ নভেম্বর সোমবার দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. আল-আমীন খান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শেরপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য এডভোকেট শাহনুর রহমান রুবেল আমার মায়ের মামাতো ভাই। উনার সাথে আমাদের একটি বানোয়াট মামলা ১০৮/২০১৯ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত শেরপুরে চলমান রয়েছে। উক্ত বানোয়াট মামলায় উপরোক্ত জমির উপর ২২ আগষ্ট ২০১৯ তারিখ হতে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান। আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পরেও বিগত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে উক্ত জমির ২৭ শতাংশ জমি হতে এডভোকেট শাহনুর রহমান রুবেল ৯শতাংশ জমি অন্য ওয়ারিশের কাছ থেকে ১১০৪৯ নং অফেরতযোগ্য আমমোক্তার নামা দলিল করে নেন এবং জবর দখলের চেষ্টা করেন। আমাদের বসবাসকৃত জমিতে ঘর মেরামত করতে গেলে আমাদের উপর হামলা চালায় এবং হুমকি প্রদান করলে আমরা থানায় অভিযোগ প্রদান করি। পরে পুলিশ সততা পেয়ে তার বিরুদ্ধে ৩০ মে ২০২১ তারিখে ৩২৩/৬০৬ দন্ডবিধি অনুযায়ী ১৬৬/২০২১নং জি.আর. মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী এডভোকেট শাহনুর রহমান রুবেল ক্ষীপ্ত হয়ে বিজ্ঞ সি.আর. আমলী আদালতে ৮ আগষ্ট দন্ডবিধি ৪৪৭/৪৮৮/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৫০৬/(২)/১১৪ ধারা অনুযায়ী ৪০১/২১ নং মামলা দায়ের করেন। উপরোক্ত মামলার হাজিরা দিতে গেলে শেরপুর জেলা আইনজীবি সমিতির কাছে ২৪ আগষ্ট মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবি চেয়ে আবেদন করলে তারা এডভোকেট শাহনুর রহমান রুবেল এর সাথে জমিজমা বিষয়ে আপোষ না করলে তাদের কোন সহযোগিতা করা হবে না বলে জানিয়ে দেন। আইনজীবি না পেয়ে সঠিক সময়ে হাজিরা দিতে না পারায় আমাদের নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়। এদিকে আইনজীবি না পেয়ে নিজেই জামিন শুনানীর আবেদন করলে আদালত আমাকে জামিন শুনানী করার অনুমতি প্রদান করেন। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আদালত আমাদের জামিন মঞ্জুর করলে সকল আইনজীবি কোর্ট বর্জন করেন একই সাথে অনিদিষ্টকালের জন্য কোর্ট বর্জনের ঘোষনা দেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার আইনী সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এব্যাপারে জেলা বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোকলেছুর রহমান আকন্দ জানান, আইনজীবি চেয়ে দরখাস্ত আমাদের কাছে এখনো পৌছেনি। যদি আবেদন পাই তাহলে অবশ্যই আইনজীবি তাদেরকে দেওয়া হবে। তাদের পছন্দ অনুযায়ী যে এডভোকেট চাওয়া হবে আমরা তাদেরকেই দেবো। কোর্ট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা জেলা বারের অভ্যন্তরীন বিষয়। তবে এ ইস্যু নিয়ে কোর্ট বর্জন করা হয়নি।