বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মবার্ষিকীতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বানীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান তৃণমূল পর্যায়ে তরুণ সমাজকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে তারুণ্যের শক্তি যে, অপরিহার্য-এই উপলব্ধিই তাকে চালিত করেছিল তরুণ সমাজকে সংগঠিত করতে। তৃণমূলে একটি রাজনৈতিক সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর গড়ে উঠে সেই দলের জনপ্রিয়তা। তিনি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি।
তিনি বলেন, দেশের জনগোষ্ঠীর তৃণমূলে দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটিয়ে প্রাণস ার করেছিলেন তারেক রহমান। তিনি দেশের উৎপাদন-উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বাপ্নিক। তৃণমূলে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য তার হাঁস মুরগী-ছাগল বিতরণ ও প্রতিবন্ধী মানুষদের কম্পিউটার বিতরণ, জটিল রোগে আক্রান্ত অসহায় মানুষের চিকিৎসার উদ্যোগ ছিল যুগান্তকারী, যা আজও দেশবাসী ভুলে যায়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারেক রহমানের নামে অসংখ্য মামলা দায়ের করে একের পর এক সাজা দিয়ে যাচ্ছে বিচার বিভাগকে কব্জায় নিয়ে। তবুও তারা তারেক রহমানকে দুর্বল করতে পারেনি। এখনও দু:শাসনের হুমকি প্রতিদিনই তার ওপর বর্ষিত হচ্ছে, তারেক রহমানকে চক্রান্তজালে আটকাতে চলছে নিরন্তর বহুমূখী ষড়যন্ত্র। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা অবিরাম কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে গেলেও তারেক রহমানকে তাঁর বিশ্বাস ও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-কে ধ্বংস ও নেতৃত্বহীন করতে চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েসী রায় দিয়ে বর্তমান সরকার তাঁকে অন্যায়ভাবে আটক রেখেছে, কারানির্যাতনে তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকারের সকল ষড়যন্ত্র-কুটকৌশল মোকাবেলা করে বিএনপি এক ও ঐক্যবদ্ধ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের নূতন প্রাণ স ার হয়েছে। এই দু:সময়ে বহু দুর থেকে দলকে সংগঠিত করার কাজ করছেন অত্যন্ত মনোযোগ, ধীশক্তি ও দক্ষতা সহকারে। জনমনে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন দূঃশাসনে দেশ আজ ধ্বংসের সর্বশেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা আজ হুমকির মূখে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলে আবারও একদলীয় শাসনের নিষ্পেষণে সারাজাতিকে বন্দী করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানী ও গুম করা হচ্ছে। এই দু:সময়ে জনাব তারেক রহমানের শংকাহীন নির্ভিক মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে। আমি তার ৫৬তম জন্মবার্ষিকীতে আশু সুস্থতা, সাফল্য, সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।
গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি আলাদা করে দেখার অবকাশ নেই : গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি আলাদা করে দেখার কোনো অবকাশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি-এনপিপি’র ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হলে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, আমাদের বাতিঘর বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। দীর্ঘ নয় বছর জনগনকে সাথে নিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য।
ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রতিশোধ এবং অহংকার এবং দাম্ভিকতা কারণে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে কারাগারে রাখা হয়েছিল। কারণ তারা জানে যদি বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকে তাহলে জনগনকে সঙ্গে করে গনতন্ত্র পূর্নুদ্ধার করতেন। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এর সভাপতিত্বে মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা এর স ালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম , বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তৃতা করেন।