শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২ রান। মাহমুদউল্লাহ বল করলেন উইকেটের বেশ পেছন থেকে। বল ডেলিভারিরও অনেক পড়ে সরে যান স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা পাকিস্তানের নওয়াজ। তিনি দাবি করেন, এটা ডেড বল। আম্পায়ারও দেন তাই। পরের বলে চার হাকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সেই নওয়াজই।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান তৃতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে সেই ডেড বল নিয়ে এখন বেশ আলোচনা চলছে। বলটি আসলেই ডেড ছিল কি না। কিংবা নওয়াজই আউট কি না। তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাটসম্যান যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে যেকোন মূহূর্তে সরে যেতে পারেন। কিন্তু কারণটা হতে হবে যৌক্তিক। যেমন ব্যাটারের সামনে কোন পাখি চলে গেলে, কিংবা পোকা মাকড়, সাইটস্ক্রিন প্রবলেম ইত্যাদি। কিন্তু আজ নওয়াজের এগুলোর কিছুই হয়নি। ফলে বলটি সঠিক ছিল বলেই দাবি অনেকের।
তবে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই বিতর্ক টানতে চাইলেন না। তার মতে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এ নিয়ে বেশি কথা বলা ঠিক না।
তবে সেই ডেড বলের পর আম্পায়ারের সঙ্গে কথা হয় রিয়াদের। ঠিক কী কথা হয়েছিল তখন। রিয়াদ জানান, ‘শুধু আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা ফেয়ার বল কি না, কারণ ও (নওয়াজ) অনেক শেষ মুহূর্তে মুভ করেছে। এর বাইরে কিছু না। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।’ সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছে সব ম্যাচ। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘দুটা ম্যাচ যদি জেতা যেত তাহলে টিমের আত্মবিশ্বাসটা আরও ভালো থাকত। যেরকম অস্ট্রেলিয়া–-নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় আমাদের ড্রেসিংরুমটা উৎফুল্ল ছিল। অবশ্যই দল হারলে সব টিমমেটরই খারাপ লাগে। অনেক ডাউট ক্রিয়েট হয়। আমার মনে হয় ছেলেরা সবাই চেষ্টা করেছে, জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফলটা আমাদের পক্ষে আসেনি।’ তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে রিয়াদ বললেন, ‘অনেক নতুন ছেলে, যারা অভিষিক্ত হয়েছে। সাইফ ডেব্যু করেছে। আজ শহীদুল করেছে এবং বেশ ভালো বোলিং করেছে। এটা তরুণদের জন্য খুব ভালো সুযোগ তৈরি করেছে। তবে আমার মনে হয় একটু সময় লাগবে। কেননা টি-–টোয়েন্টিটা এতটা সহজ না। বিশেষ করে তরুণদের জন্য। আমি মনে করি তারা এটি ম্যানেজ করে নেবে এবং সামনে তারা খুব ভালো পারফর্ম করবে।’