আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই বড় দলে বিদ্রোহী প্রার্থী গতবারও ছিল, অনেক জায়গায় জয়লাভও করেছেন। যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারাও কিন্তু আওয়ামী লীগই করেন, অন্য দল করেন না। সার্বিকভাবে (এবার) বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন, অনেক জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। বড় দলের ক্ষেত্রে এটি হতেই পারে, গতবারও এমন হয়েছে।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয়ে ‘চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই’ বলে মনে করছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বেশির ভাগ জায়গায় নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে বিদ্রোহী প্রার্থীরা আছেন। অন্যান্য দল কৌশল নিয়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে অংশ নিয়েছে। বিএনপি, জাতীয় পার্টির লোকজনও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, নির্বাচনে তাদের সাফল্য নেই বললেই চলে।’
আওয়ামী লীগ একটি বড় দল মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই বড় দলে বিদ্রোহী প্রার্থী গতবারও ছিল, অনেক জায়গায় জয়লাভও করেছেন। যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারাও কিন্তু আওয়ামী লীগই করেন, অন্য দল করেন না। সার্বিকভাবে (এবার) বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন, অনেক জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। বড় দলের ক্ষেত্রে এটি হতেই পারে, গতবারও এমন হয়েছে।’
ইউপি নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ভোট হয় গত রোববার। সারা দেশে যেসব ইউনিয়নে ভোট হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটিতে ফলাফল স্থগিত আছে। বাকিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩৯টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে নৌকা মার্কা নিয়ে লড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৭টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে লড়াই করা প্রার্থীরা। এর আগের দুই ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা ডুবিয়েছেন কয়েক শ আওয়ামী লীগ নেতা। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের পদক্ষেপ, ভবিষ্যতে আর কখনও মনোনয়ন না দেয়ার সতর্কতার পরেও বিদ্রোহী নেতারা সেসব গা করেননি। রোববারের ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি ধরাশায়ী করেছেন খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে আওয়ামী লীগের যতজন জিতেছেন, তার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে জয় পেয়েছেন মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকা ঢাকা ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী নেতা হারিয়ে দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তুলনামূলক বিচারে কম ভালো করেছেন।