আজ ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস। ১৯৯০ সালের এ দিনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ আর বিএনপি ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করে। জনসাধারণের কাছে দিনটি পরিচিতি পায় ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবে। তবে এরশাদের গঠন করা জাতীয় পার্টি দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।
এরশাদবিরোধী আন্দোলন ১৯৯০ সালে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট এরশাদ আবারও সামরিক আইন জারি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন, তারা আর এরশাদের পেছনে থাকবেন না। মূলত ওই দিনই প্রতাপশালী স্বৈরাচার এরশাদের ভিত নড়ে যায়। ৪ ডিসেম্বর রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পরের দুই দিনে তার পদত্যাগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। এ দিনে গণতন্ত্রের দুষমনরা পরাজিত হলেও, তারা চুপ করে বসে নেই। পরাজিত শত্রুরা চক্রান্তমূলকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে অন্তরীণ রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয় অর্জন করতে হবে।’ দিবসটি উপলক্ষে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে মির্জা ফখরুল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সেখানে বলেন, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করায় খালেদা জিয়া কারাগারে। আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো দিনই ভূমিকা রাখেনি।