প্রথম ইনিংসে তাকে খেলতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে পাকিস্তানী ব্যাটারদের। প্রথম ইনিংসে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা (৭/১১৬) স্পেলটির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১/৮৯ সহ চট্টগ্রাম টেস্টে ৮ উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
শেরে বাংলায় আজ থেকে শুরু হওয়া শেষ টেস্টেও বাবর আজমের দলের পথের কাটা এ বাঁ-হাতি স্পিনার। প্রথম টেস্টে উভয় ইনিংসে প্রায় দেড়শো রানের (প্রথম ইনিংসে ১৪৬ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫১) ওপেনিং জুটি গড়া পাকিস্তান ওপেনার আবিদ আলি আর আব্দুল্লাহ শফিককে এবার মোটামুটি চট জলদি ফিরিয়ে দিয়েছেন তাইজুল।
তার দারুণ ডেলিভারিতে অফ স্ট্যাস্পের বাইরে পরাস্ত হয়ে বোল্ড আব্দুল্লাহ শফিক। আর প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে লম্বা সময় উইকেটে থাকা এবং যথাক্রমে ১৩৩ ও ৯১ রানের ইনিংস উপহার দেয়া আবিদ আলি ফিরে গেছেন ভিতরে আসা বলে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়িয়ে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর আলোর স্বল্পতায় দিনের ৩৩ ওভার আগে খেলা বন্ধ হবার আগে পর্যন্ত পাকিস্তানের যে দুটি উইকেট পড়েছে তার দুটিই নিয়েছেন তাইজুল।
দিন শেষে সহযোগি মেহেদি হাসান মিরাজের কন্ঠে তাইজুলের অকুন্ঠ প্রশংসা। মিরাজও মানছেন, তাইজুল ভাই খুবই ভালো শুরু করেছেন। শেষ টেস্টেও সে একটা ভালো শেপে ছিল। উইকেট পেয়েছেন। আজকেও খুব ভালো শুরু করেছেন উনি। এক প্রান্ত থেকে খুব ভালো বোলিং করেছেন।’
তাইজুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মিরাজের অনুভব, তাইজুলের উইকেট পাবার পিছনে সাকিবের অবদানও কম না। তার মনে হয় তাইজুল আর সাকিব জুটি গড়ে ভাল বোলিং করে পাকিস্তানীদের কাছ থেকে সর্বাধিক সমীহ আদায় করেছে বলেই তাইজুল সফল হয়েছে। কিন্তু পেসারদের মধ্যে সেই জুটি হয়নি। এবাদত একদিকে ভাল বোলিং করলেও অন্য প্রান্তে খালেদ সমীহ জাগানো বোলিং করতে পারেননি।
মিরাজের মূল্যায়ন, টেস্ট ক্রিকেটে কিন্তু জুটি বেঁধে কাজ করতে হয়। দেখেন আজকে আমাদের যে রকম শুরু হয়েছে, দুদিক থেকে যদি পেসাররা ধরে রাখতে পারত তাহলে হয়তো সকালে দুটা উইকেট পেয়েও যেতে পারত। দেখেন আমরা যখন স্পিনাররা বোলিং করেছি, একপ্রান্ত থেকে সাকিব ভাই টাইট বোলিং করেছে। অন্যপাশ থেকে তাইজুল ভাই ভালো বোলিং করে উইকেট পেয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটটাই এ রকম। যদি দুই প্রান্ত থেকে ভালো বোলিং করতে পারেন, প্রেসার ক্রিয়েট করেন তাহলে উইকেট নেওয়ার সুযোগ থাকে। এটাই প্রথম সেশনে সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই করেছে। বাট দ্বিতীয় সেশনে আমিসহ অন্যরা প্রেসার ক্রিয়েট করতে পারিনি। ওরা ডমিনেট করেছে। রানও করেছে।