মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দেখা নেই সূর্যের। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) মেঘলা আকাশে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া ভেদ করে তেজহীন সূর্যের দেখা মিলেনি সারাদিনে একবারও, তারই সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া। এর আগে রোববার (৫ নভেম্বর) দিনভর সূর্যের দেখা গেলেও বেশিরভাগ সময় সূর্যের কিরণে ছিলো না তেজ। বড়লেখায় বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রাও কমেছে। বড়লেখায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৩.৪৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থার পরিবর্তন হলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। আঞ্চলিক আবহাওয়া কর্মকর্তা খবরপত্রকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত দুইদিন ধরে আকাশ মেঘলাসহ সারাদিন হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে আবহাওয়া আবার স্বাভাবিক হবে। তবে, আগামী দুই-এক দিন পর থেকে বাড়তে পারে শীতের প্রকোপ। এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে বড়লেখায় সোমবার দিনগত রাত থেকে দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় রোববারও একই অবস্থা বিরাজ করছিলো কিন্তু রোববার বৃষ্টি হয়নি। তবে, সোমবার সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফলে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে রয়েছে স্থানীয় দিনমজুর ও নিন্ম আয়ের মানুষরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক ভ্যান চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া অবিরাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে তাদের রোজগার একেবারেই কমে গেছে। আর চলমান এই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে গতকাল সারা দিনে দেড়শ-দুশো’ টাকাও আয় করতে পারেননি বলেও জানান তারা। উপজেলার রতলী এলাকার আব্দুল হাকিম নামে আরো একজন জানান, সোমবার তিনি সারা দিনে দেড়শত টাকাও রোজগার করতে পারেননি। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ১৩৫ টাকা আয় হয়েছে তার। আরো দু’তিন দিন এমন বৈরী আবহাওয়া চলতে থাকলে স্ব-পরিবারে না খেয়ে থাকতে হবে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে বড়লেখা অনলাইন রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাহমীদ ইশাদ রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারালেও গভীর নিন্মচাপে পরিণত হওয়ার প্রভাবে সোমবার ভোররাত থেকে দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সোমবার সকাল থেকে সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। একই অবস্থা বিরাজমান থাকলে নিম্নআয়ের মানুষ ও কৃষকরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে মঙ্গল অথবা বুধবার থেকে স্বাভাবিক হতে পারে। এদিকে বৈরী আবহাওয়া ও দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে বলেও জানান তিনি।