সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন প্রাণহানি ৪০, দগ্ধ শতাধিক

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে ৪০ জনের প্রাণহানি এবং আরো শতাধিকও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছে। ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছলে গতরাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়া বাসস’কে জানান, এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৩৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, ‘এমভি অভিযান-১০’ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঢাকা থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল। রাতে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে। এ সময় কেবিনের যাত্রীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর পৌনে ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আগুনে ৭০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়। দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন। এদিকে লঞ্চে আগুনের খবর শুনে বরগুনা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে স্বজনরা ঝালকাঠি লঞ্চঘাট এলাকায় এসেছেন। তাদের আহাজারিতে এখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে গেছে। ভোর ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন উদ্ধারকাজে নিয়োজিতরা। অগ্নিকান্ড পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যাচ্ছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।এ ছাড়া লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
লঞ্চের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড: নীচ তলার ইঞ্জিনরুম সংলগ্ন এলাকায় যে সকল যাত্রীরা ঢাকা থেকে জায়গা নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তারাই বেশি দগ্ধ হন। এ সময় কয়েকজনকে শরীরে আগুন নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আমেনা বেগম নামের এক যাত্রী জানান, তার সাথে আরও জন স্বজন ছিল। আগুন লাগার সময় তিনি টয়লেটে ছিলেন। টয়লেট থেকে বের হয়ে আগুন এবং ধোয়া দেখে তিনি প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাপ দেন। এরপর সাঁতরে তীরে যাওয়ার পর সেখানকার বাসিন্দারা তাকে তুলে আনেন। তবে তার সাথে থাকা চার স্বজনের খোঁজ তিনি এখনো পাননি।
আমিনুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, তিনি ইঞ্জিনরুম যেখানে তার ওপরে দোতালার ডেকে অবস্থান করছিলেন। আগুন লাগার সাথে সাথে ডেক গরম হয়ে চারিদিক ধোয়া আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে তিনিও আত্মরক্ষার্থে ডেকের পাশের পর্দা সরিয়ে দেন। এরপর লঞ্চের সাথে বাঁধা দড়ি বেয়ে নিচে নেমে নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতরে তীরে ওঠেন। ওই সময় দুই শিশুকেও তিনি রক্ষা করেন। আমিনুল আরও জানান, তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে ওই দুই শিশুকে হস্তান্তর করে আবার মেডিকেলে ছুটে আসেন যাত্রীদের অবস্থা দেখার জন্য। তিনি নিশ্চিত যে, ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ইঞ্জিনরুমের ২ জন স্টাফ নিহত হয়েছে বলে তিনি শুনতে পেয়েছেন। তবে তাদের লাশ এখনো শনাক্ত হয়নি বলে জানান তিনি। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই একজন স্টাফকেও পাওয়া যায়নি। আর যারা ছিলেন তারা যাত্রীবেশে সটকে পড়েছে বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তারপর লঞ্চের মালিকের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন নলছিটি থানা পুলিশ। শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ৭০ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক ১৬ দগ্ধ রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ৫ থেকে ১০ ভাগ দগ্ধ রয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত বলে দাবি করেন তিনি। হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অর্ধশতাধিক চিকিৎসক আনা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকেও একটি টিম চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হয়েছে। চিকিৎসা ও ওষুধের কোনো সমস্যা নেই বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
ঘটনাস্থলে থাকা কোস্টগার্ডের বরিশাল অঞ্চলের স্টেশন অফিসার লে. কর্ণেল আহমেদ অনাবিল বলেন, লঞ্চের ইঞ্জিন বিস্ফোরণ থেকেই এই অগ্নিকা-ের সূত্রপাত। তবে কি কারণে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নেভানোসহ উদ্ধার কাজ করছে। লঞ্চটির ইঞ্জিনকক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক জহর আলী বলেন, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৭০ জনকে বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে ইঞ্জিনরুম থেকে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত।
লঞ্চে আগুনে হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় রাষ্ট্র প্রধান নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রপতি হামিদ আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় গতকাল রাত তিনটার দিকে ইঞ্জিনে আগুন ধরে ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং ৭০ জনের বেশি দগ্ধ হন।
লঞ্চে আগুনে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বর্তমানে মালদ্বীপ সফররত শেখ হাসিনা আজ এক শোক বার্তায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন। শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ: ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকা-ে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মালদ্বীপ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনা শুনে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশে অবস্থান করেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকা-ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। জানা গেছে, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। সুগন্ধা নদীতে থাকাবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় বিপর্যস্ত লঞ্চটি ভেড়ানো হয়। লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। এদিকে অগ্নিকা- থেকে বাঁচতে নদীতে লাফিয়ে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরি দল। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে তিন বাহিনীর তিন দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অগ্নিকাণ্ড তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মৃতদের পরিবার পাবে দেড় লাখ টাকা: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন নৌপ্রতিমন্ত্রী ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লঞ্চের দগ্ধ যাত্রীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের হিসাবমতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পুড়ে যাওয়া লঞ্চে ৩৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল। এর বেশি থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়া লঞ্চের ফিটনেস ঠিক ছিল বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা এখনই বলতে পারছি না। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় বিপর্যস্ত লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।
লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com