সরলরেখা প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট কবি নাজমুস সায়াদাতের পিতা সমাজসেবক মাষ্টার সায়েম উদ্দীন গত শুক্রবার সকাল ৭:৫০ মিনিটে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি টাঙ্গাইলে মেয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে সেখানে স্ট্রোক করে ইন্তিকাল করেন। তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল জয়পুরহাট তালীমুল ইসলাম একাডেমি এন্ড কলেজ মাঠে শুক্রবার সন্ধ্যায় মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে গুলশান মোড়ে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি সদর উপজেলার ধলাহার স্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে আরবি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং জয়পুরহাট সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন স¤পন্ন করেন। তিনি পারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিয়াবাড়ি হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি পরবর্তীতে হরিতকিডাঙ্গা হাইস্কুল, ভেড়ম হাইস্কুল এবং রঘুনাথপুর মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। মরহুম রোজার শিক্ষা, দারসে কুরআন, সোনাদীঘির নোঙ্গরখানাসহ অনেক প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা রচনা করেছেন। তিনি ন্যায় ও দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন, জেলজুলুম সহ্য করেছেন। জয়পুরহাট আদর্শ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষকদের অন্যতম। মরহুমের ১০ ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী সহ অসংখ্য ভক্ত গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি সমাজসচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের জয়পুরহাট জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তার নামাজে জানাযায় জনতার ঢল নামে। জানাযা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ড. মাওলানা রেজাউল করিম খান, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান হাসিবুল আলম লিটন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, মরহুমের বড় ছেলে নাজমুস সাদাতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মহান আল্লাহ তায়ালা মরহুমের জীবনের সকল নেক আমলগুলো কবুল করে নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস দান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য্য ধারণ করার দোয়া করা হয়।