অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে টানা দুই জয়ে আগেই সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। রোববার শ্রীলঙ্কা বনাম নেপালের ম্যাচের পরই হিসাবের মারপ্যাঁচে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেছে লাল-সবুজ বাহিনীর। ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়ের পর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে যেন উড়ছে বাংলার যুবারা। প্রথম ম্যাচে নেপালকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) কুয়েতকেও উড়িয়ে দেয় রাকিবুল বাহিনী। টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে প্রতিটি দলের দুটি করে ম্যাচ শেষে সমান ৪ পয়েন্ট রয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার। এছাড়া এখনো পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি গ্রুপের বাকি দুই দল নেপাল ও কুয়েত।
এদিকে আগামী মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে লঙ্কানদের হারাতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে খেলবে বাংলাদেশ। অন্য দিকে নেপাল ও কুয়েত নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে দুই। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন যুবা টাইগার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। ১১২ বলে ১২৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নাবিলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও একটি ছয়ের মার। সে ম্যাচে নেপাল হেরেছিল ১৫৪ রানের বড় ব্যবধানে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে রাকিবুল হাসানরা। জবাবে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মাহফিজুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে কুয়েতের বিপক্ষে পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ১০ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করে রাকিবুল হাসান বাহিনী। তরুণতুর্কি মাহফিজুল একাই করেন ১১২ রান। এমন অনবদ্য ব্যাটিং করার পথে ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকায় সে।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুয়েতের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রান তুলতেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙে তাদের। এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে কুয়েত। দলটিকে ২২২ রানে হারিয়েছে বাংলার যুবারা। কুয়েতের পক্ষে দলটির অধিনায়ক মিত ভভসার যা একটু প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তিনি ৪৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। তবে আর কেউ ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেনি।