একসময় স্মার্টফোনের দুনিয়ায় রাজ করেছে ব্ল্যাকবেরি হ্যান্ডসেট। কয়েক দশক আগেও স্মার্টফোন বলতে সবাই ব্ল্যাকবেরিকেই বুঝতো। অনেক দিন আগেই সেই সব ফোন বিক্রি বন্ধ হলেও এতদিন সব ক্লাসিক ফোনে সাপোর্ট দিত ব্ল্যাকবেরি। তবে আর নয়, এবার সব ক্লাসিক ফোন থেকে সাপোর্ট বন্ধ করল কোম্পানিটি। অতীতেও একাধিকবার মৃত্যু ঘোষণা এসেছে ব্ল্যাকবেরির। এবার ব্ল্যাকবেরি ১০ এবং ব্ল্যাকবেরি ৭.২ বা এর আগের মডেলগুলো বন্ধ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর ৪ জানুয়ারির পর ব্ল্যাকবেরির মূল অপরেটিং সিস্টেমে চলে এমন ফোন চালু থাকার কোনো নিশ্চয়তা কানাডিয়ান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি আর দিচ্ছে না। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, অ্যান্ড্রয়েড চালিত এই ব্র্যান্ডের ফোনগুলো নতুন এই মৃত্যুঘোষণার আওতায় পড়বে না। ফলে সেগুলো আপাতত চালুই থাকছে।
২০০৭ সালে স্মার্টফোন দুনিয়ায় বিপ্লব এনেছিল আইফোন। সেই সময় অন্য কোন কোম্পানি ভাবতে পারেনি স্মার্টফোন দুনিয়াকে কীভাবে বদলে দিতে চলেছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। অ্যাপল যখন প্রথম আইফোন এর ঘোষণা করেছিল তখন ব্ল্যাকবেরির তরফ থেকে সেই ফোন প্রসঙ্গে মজা করেছিলেন কোম্পানির আধিকারিকরা। তাদের দাবি ছিল গ্রাহক কখনোই টাচস্ক্রিন আর ভার্চুয়াল কি-বোর্ডের স্মার্টফোন পছন্দ করবেন না।
তবে ব্ল্যাকবেরির এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল ছিল। লঞ্চের পরেই বিপুল জনপ্রিয়তা পায় প্রথম আইফোন। বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের মধ্যে আইফোন কেনার ঢল নেমে যায়। এর পরেই ধীরে ধীরে ব্ল্যাকবেরির বিক্রি কমতে শুরু করে। কমতে থাকে কোম্পানির আয়। এবার ভার্জ কিছুটা কৌতুক করেই প্রতিবেদনে বলেছে, এখনো যদি অবোধ্য কোনো কারণে কেউ ব্ল্যাকবেরি ফোন ব্যবহার করে থাকেন, তবে তারা নতুন বছরের প্রতিজ্ঞা হিসেবে নতুন ফোনে চলে যেতে পারেন।
আর দুই দিন পরই অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি বন্ধু হচ্ছে ব্ল্যাকবেরির ক্লাসিক ফোনগুলো। ধীরে ধীরে অস্তিত্ব হারাচ্ছে এক সময়ের বিখ্যাত সেই প্রতিষ্ঠানটি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক অনওয়ার্ডমবিলিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, তারা ৫জি ব্ল্যাকবেরি ডিভাইস আনবে। যদিও আর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি তাদের পক্ষ থেকে। সূত্র: দ্য ভার্জ