আজ গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে বিএনপি
আজ ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় মহানগর বিএনপি’র উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। গণতন্ত্র হরণ আওয়ামী লীগের ডিএনএ’তে মিশে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণ, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে নতুন নয়। দেশের ইতিহাসে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বস করে না। গণতন্ত্র হরণ আওয়ামী লীগের ডিএনএ’তে মিশে আছে।
রিজভী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই পাত্তা দেয় না। জনগণের ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাসী-অবিশ্বস্ত আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে পরিকল্পিতভাবে ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছিলো।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সোয়া এক বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জনগণের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। তাদের সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি-কারচুপির আশ্রয় নিতে হয়েছিল। ৩০০ আসনের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিয়েছিল ২৯৩ আসন, মাত্র সাতটি আসন বিরোধী দলকে দেয়া হয়।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন। আট বছর আগে ২০১৪ সালের এই দিনে সারাদেশে ভোটার ও বিরোধী দলের প্রার্থীবিহীন একতরফা বিতর্কিত, প্রতারণামূলক, হাস্যকর ও শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রহসনমূলক একদলীয় পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে নির্বাচন কেন্দ্রগুলো ছিল একদম ফাঁকা। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ছিল ভোটারশূন্য এবং কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের বদলে ভোট কেন্দ্রে চতুষ্পদ প্রাণীর বিচরণ দেখেছে বিশ্ববাসী। রিজভী বলেন, বর্তমানে ভোটাধিকার হরণে দুস্কর্মের টাটকা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের কলঙ্কিত রেকর্ডকে ভেঙে ফেলে।