ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে দুই গারো স্কুলছাত্রী গনধর্ষনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দাখিলের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও জড়িতদের আটক করতে পরেনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তারই প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে ২য় বার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অভিযোগে উল্লেখিত ১০ আসামীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্বারক লিপি পেশ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীগন। এ সময় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করেন, বিড়ইডাকুনী উচ্চ বিদ্যালয়, মধ্যও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প, কাতল মারী গ্যারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন গাসু, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন বাগাছাস, ভাষা শহিদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ , ডোমনিকুড়া ওয়ার্ক টিম, সাধু পিতরের নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ গারো আদিবাসী লীগ, উপজেলা আওয়ামীলী সহ অন্যান্য সংগঠন। দুই গারো তরুনীর ধর্ষকদের দ্রুত আটক সহ ফাঁসির দাবী জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাগাছাস এর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি লিংকন দিব্রা, হালুয়াঘাট শাখার সভাপতি জেমস যিদিয়েল রেমা, সাধারণ সম্পাদক সৃজন দিও, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোর্শেদ আনোয়ার খোকন, স্থানীয় নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ঘোষ, পলাশ রিসিল প্রমূখ। গত সোমবার উপজেলার কাজলের মোড়ে প্রথম মানববন্ধন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান গারো আদিবাসী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিঃ তুরষ দাংগ। তারই কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। তারা আবারো হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, অভিযোগে উল্লেখিত আসামীদের দ্রুত আটক করা না হলে সারা বাংলাদেশের গারো সমাজ একত্রিত হয়ে প্রতিটি জেলা উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ সহ কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলবেন। উল্লেখ যে, গত ২৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নে প্রতিবেশীর বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দুই গারো স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। পরে ভয়ে ওই দুই কিশোরীর পরিবার চুপ থাকে। এমতাবস্থায় মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ওই দুই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ওই দুই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেয় এবং ৩০ ডিসেম্বর এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে দশজনকে আসামী করে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান খান বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে করতে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে আছেন। আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান। গত বুধবার আসামীদের এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।