নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক দিনে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৮ নবজাতকের জন্ম হয়েছে। যা এক দিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে, সাফল্যের জোয়ারে ভাষছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাগণ। সংবাদটি জেলায় ছড়িয়ে পড়লে ১১ জানুয়ারি দুপুরে নীলফামারী জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির পরিদর্শনে আসেন। প্রসূতি মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন এবং সকল প্রসূতি মায়েদের নবজাতক শিশুদের জন্য পোষাক উপহার হিসাবে তুলে দেন তিনি। যানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী’র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সোমবার হাসপাতালে ১১ জন ডেলিভারির রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ৮ জন প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। ডেলিভারি ট্রায়ালে রয়েছেন ৩ জন। যা এ উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এক দিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এদের মধ্যে ৫ জন মা জন্ম দিয়েছেন পুত্র সন্তাান এবং ৩ জন মা জন্ম দিয়েছেন কন্যা সন্তান। এখানে সর্বচ্চ সেবা পেয়ে প্রসূতি মায়েরাও ভাড়ি খুশি। ক্লিনিকে গিয়ে সিজার না করে আস্থা বাড়ছে ডেলিভারি রোগী ও প্রসূতি মায়েদের। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী জানান, ডেলিভারি মায়েদের জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন ২জন দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১২ জন মিডওয়াইফ নার্স। রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড, মিডওয়াইফদের আলাদা ডিউটি রুম, সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে ক্রমেই ডেলিভারি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ডিসেম্বর মাসে ১০৩টি এবং জানুয়ারি মাসের সোমবার পর্যন্ত ৩১টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করেছি আমরা। ইতোমধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালুর মাধ্যমে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে শিশুবান্ধব হাসপাতাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিশেষ করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে প্রসবের উদ্যোগটি সফলতা নিয়ে এসেছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তপন কুমার রায় বলেন, উপজেলায় পাড়ায় মহল্লায় গড়ে উছেছে বে-সরকারি ক্লিনিক। সেখানে সিজারের মহা উৎসবে নরমাল ডেলিভারি প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমাদের সেবার মান উন্নয়নে সর্বচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। দিন দিন নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতিদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ হাসপাতালে নিরাপদে এ ডেলিভারি করানো হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে না। পাশাপাশি কোনো প্রকার খরচ করতে হয় না রোগীর স্বজনদের। অপরদিকে মা ও শিশুদের জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা। তাই মায়েদের প্রথমে ক্লিনিকে না গিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।