শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন

যেখানে-সেখানে কিউআর কোড স্ক্যানে বিপদ হতে পারে

আইটি ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

আজকাল রেস্তোরাঁয় খেতে যান আর মুদি দোকানের সদাই কিনতে। সব জায়গায় টাকা দিতে কিংবা পণ্যের আসল নকল যাচাই করতে কিউআর কোড স্ক্যান করে দেখেন অনেকে। রিয়েল এস্টেটের তালিকা, টিভি বিজ্ঞাপন, সোশাল মিডিয়া পোস্ট দেখতেও কিউআর কোড ব্যবহার করা হয়। মহামারির এই সময়টাতে এই স্ক্যান করার প্রবণতা বেড়েছে অনেক বেশি। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন রেস্তোঁরায় হাতে হাতে মেনু পৌঁছানোর বদলে তুলে দিয়েছে কিউআর কোড। সেটি মোবাইল ফোনের অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করে নিজের ফোনের পর্দাতেই মেনু দেখা সম্ভব। তবে যেখানে সেখানে কিউআর কোড স্ক্যান করে বিপদ ডেকে আনছেন নাতো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বহুল ব্যবহারই ডেকে আনতে পারে বিপদ। এমন অহরহ কিউআর কোড ব্যবহার হওয়ায় এটিকেই হাতিয়ার বানিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বড় ফাঁদ তৈরি করেছে স্ক্যামাররা। নিজেরা ক্ষতিকারক কিউআর কোড তৈরি করছে যা গ্রাহকের অজান্তেই বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এইসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যাংকিং বা ব্যক্তিগত তথ্যের মতো বিষয়। এমনটাই জানা যাচ্ছে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদের সাইট সিনেটের এক প্রতিবেদনে।
কিউআর কোডের পুরো নাম কুইক রেসপন্স কোড। ১৯৯০-এর দশকে জাপানে উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তির প্রথম ব্যবহার ছিল মোটরগাড়ি শিল্পে উৎপাদন পরিচালনায়। এখন যে কেউ চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন পছন্দসই কিউআর কোড। জাল কিউআর কোড হয়তো আপনার ফোনে গোপনে ম্যালওয়্যার ডাউনলোডের মতো কিছু করবে না। তবে এগুলো আপনাকে নিয়ে যেতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে এমন ওয়েবসাইটগুলোতে। অন্য যে কোনো ফিশিং স্কিমের মতোই ক্ষতিকারক উদ্দেশ্যে কিউআর কোডগুলো ঠিক কতবার ব্যবহার করা হয় তা জানা অসম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে পরিমাণ ফিশিং স্ক্যাম হয় তার ছোট একটি শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করছে কিউআর কোড স্ক্যাম।
কিউআর কোডের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য স্ক্যাম সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘বেটার বিজনেস ব্যুরো’। বিভিন্ন সংবাদ আর সচেতনতামূলক বার্তার কারণে অনেকেই এখন জানেন যে, ইমেইলে ফিশিং লিঙ্ক এবং সন্দেহজনক অ্যাটাচমেন্ট থাকতে পারে।যতোই মনে হোক না কেন মেইলগুলো কোনো ব্যাংক থেকে এসেছে। অ্যাপ সিকিউরিটি কোম্পানি ‘এফ৫’-এর নিরাপত্তা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেল গ্রান্ট। তিনি বলেন, যখনই কোনো নতুন প্রযুক্তি আসে, সাইবার অপরাধীরা সেটিকে কাজে লাগানোর উপায় খোঁজার চেষ্টা করে। আর এ বিষয়টি কিউআর কোডের মতো প্রযুক্তির বেলায় বিশেষভাবে সত্য।
গ্রাহকরা জানেন এই প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তবে এর খুঁটিনাটি তারা নাও জানতে পারেন। এসব কারিগরি জ্ঞান না থাকার কারণে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সহজ। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে সর্বস্বান্ত করছে। সূত্র: সিনেট




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com