অনেকেই প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করতে চান। কিন্তু ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার না থাকায় করতে পারছেন না। তাদের জন্য সুখবর। এবার স্মার্টফোনেই করা যাবে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং। এ জন্য আপনার অ্যান্ড্রোয়েড ফোনে ইনস্টল করতে হবে গুগল ফটোস। গুগল ফটোস ব্যবহার করে কীভাবে একটি ভিডিও এডিট করবেন, চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক- আজকাল প্রায় সব অ্যান্ড্রোয়েড ফোনেই গুগল ফটোস ইনস্টল থাকে। তবে অ্যাপটি ইনস্টল করা না থাকলে প্রথমেই প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ ইনস্টল করে নিন। এবার অ্যাপটি ওপেন করে, যে ভিডিওটি আপনি এডিট করতে চান তা সিলেক্ট করে নিন। ভিডিও প্রিভিউ ওপেন করার পরে তা প্লে করে নীচে এডিট বাটনে ট্যাপ করলে আপনার স্ক্রিনে এডিট ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এডিট ইন্টারফেস ওপেন হলে সেখানে বিভিন্ন বেসিক ভিডিও এডিটিংয়ের অপশন দেখতে পাবেন। এখানে অডিও মিউট, স্ট্যাবিলাইজেশন, স্কিন টোন অ্যাডজাস্টমেন্ট সহ আরো অনেক ভালো ভালো ফিচার আছে। ইন্টারফেসে ভিডিও, ক্রোপ, অ্যাডজাষ্ট, ফিল্টারস ও মেকআপ এই ৫টি ট্যাব থাকে। প্রত্যেকটি ট্যাবে আলাদা আলাদা ফিচার আছে। ট্যাপ করে ফিচারগুলো দেখে নিতে পারেন। ভিডিও ট্যাবের মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও থেকে সাউন্ড অফ করা যাবে। এছাড়াও থাকছে স্ট্যাবিলাইজেশনের অপশন। ট্যাবটির সাহায্যে ভিডিওতে যুক্ত করা যাবে ফ্রেম। ভিডিও ম্যানুয়ালি ক্রপ করার জন্য বা ভিডিও রোটেট করার জন্য ক্রোপ ট্যাবটি ব্যবহার করা হয়।
অ্যাডজাস্ট ট্যাবে অসংখ্য ফিচার রয়েছে। ভিডিওটির প্রধান এডিট এই ট্যাবেই হয়। ট্যাবটিতে স্লাইডের মাধ্যমে ভিডিওটি কেমন দেখতে হবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এখানে ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট, হোয়াইট পয়েন্ট, হাইলাইটস, শ্যাডো ব্ল্যাক পয়েন্ট, স্যাচুরেশন, ওয়ার্মথ, টিন্ট, স্কিন টোন, ব্লু টোন ও ভিনিয়েট নিয়ন্ত্রণ করার ফিচার থাকে। এই সব স্লাইডার ঘেঁটে ভিডিওতে পছন্দের লুক পেয়ে যাবেন।
ফিল্টার ট্যাবে বিভিন্ন প্রিসেট ফিল্টার থাকে সেগুলো ব্যবহার করে ভিডিওটির সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। ঠরারফ, ডবংঃ, ইধুধধৎ, গবঃৎড়,জববষ, গড়ফবহধ-র মতো কিছু অসাধারণ ফিল্টার ব্যবহার করে আপনার ভিডিও সম্পূর্ণ আলাদা লুকে নিতে পারবেন। মেকআপ ট্যাবে পেন অথবা হাইলাইটার টুল সিলেক্ট করা যাবে। এরপরে ভিডিওর প্রয়োজন মার্ক করা যাবে। পেন টুল দিয়ে ভিডিওর উপর কিছু লিখতে বা মার্ক করতে ব্যবহার করা হয় এবং হাইলাইট টুলের সাহায্যে ভিডিওর কোনো কিছু হাইলাইট করা হয়। ৫টি ট্যাবের অসংখ্য ফিচারের সাহায্যে আপনার ভিডিও এডিটিং শেষ হলে সেভ-কপি সিলেক্ট করে অরিজিনাল ভিডিও ফাইলটির পাশাপাশি নতুন এডিটেড ফাইল তৈরি করে নিতে পারবেন।