শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

অভিনেত্রী শিমু হত্যার বর্ণনা দিলেন স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২২

ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকা- নিয়ে পুলিশ দ্বিতীয় দফা সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল শুক্রবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এই সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকা-ের বিস্তারিত তুলে ধরেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হুমায়ন কবীর। তিনিবলেন, শিমু হত্যার আসামী স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল (৪৮) ও তার বাল্যবন্ধু এসএমওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদ (৪৭) গত বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দি থেকে জানা যায়, নোবেলের বাল্যবন্ধু ফরহাদ প্রায়ই কলাবাগান এলাকায় তার বাসায় আসা-যাওয়া করতেন।
এই সূত্র ধরে গত ১৬ই জানুয়ারি আনুমানিক সকাল ১০টায় বন্ধু ফরহাদ তাদের কলাবাগান বাসায় আসেন। এসময় নোবেল তার স্ত্রী শিমুকে চা বানাতে বলেন। চা দিতে দেরি হওয়ায় নোবেল কিচেন রুমে ঢুকে তিনি দেখতে পান- স্ত্রী শিমু মোবাইল ফোন দেখছে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
ঝগড়ার একপর্যায়ে নোবেল তার বন্ধুকে সহায়তা করার জন্য বলেন। এতে নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ দুইজনে মিলে শিমুর গলাটিপে ধরলে ঘটনাস্থলেই শিমু মারা যান। এসময় ফরহাদ একটি বস্তায় শিমুর লাশ ভরে বস্তাটি সুতা দিয়ে সেলাই করেন।
পরে বাড়ির গেটের দারোয়ানকে নাস্তা আনার কথা বলে অন্যত্র পাঠিয়ে এসময় শিমুর বস্তাবন্দি লাশটি তারা গাড়ির পিছনে রাখেন। নোবেল ও ফরহাদ লাশটি নিয়ে রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় গুম করার জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন। সুযোগ না পেয়ে লাশটি নিয়ে সন্ধ্যায় তারা আবার বাসায় ফিরে আসেন। ওইদিন রাতেই আবার লাশটি নিয়ে তারা বছিলা সেতু দিয়ে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর এলাকায় আসেন। এসময় সুযোগ বুঝে তারা আলীপুর ব্রিজের অদূরে একটি রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিমুর লাশটি ফেলে পালিয়ে যায়। ১৭ই জানুয়ারি সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে শিমুর লাল উদ্ধার করে। পরে ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের সহায়তায় অভিনেত্রী শিমুর লাশ শনাক্ত করেন মডেল থানা পুলিশ।
শিমুর লাশ বহনকারী গাড়িতে থাকা একটি সুতার বান্ডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এই সুতার সাথে শিমুর লাশ রাখা বস্তার সেলাইয়ের সাথে মিল দেখে পুলিশের সন্দেহ হলে শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধুকে ১৭ই জানুয়ারি রাতে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ পুলিশের কাছে কিছু উল্টোপাল্টা তথ্য দিলেও তিনদিন রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে পাঠালে সেখানে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এই সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল সাহাবুদ্দীন কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল অফিসার ইনচার্জ আবু ছালাম মিয়া, ওসি তদন্ত মোঃ রমজানুল হক ও ওসি অপারেশন মোঃ আশিকুর রহমান প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com