বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায় আর বিএনপি চায় বহুদলীয় গণতন্ত্র। গতকাল সোমবার বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরাফাত রহমান কোকো’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার বনানীস্থ কবরে কোরানখানি, ফাতিহা পাঠ এবং শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফের বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আমি আগেও বলেছি, তাদের এবং আমাদের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। তারা একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায় আর বিএনপি চায় বহুদলীয় গণতন্ত্র। তাদের এবং আমাদের বক্তব্যেতো পার্থক্য থাকবেই। মরহুম আরাফাত রহমান কোকো’র স্মৃতিচারণ করে রিজভী বলেন, অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের দাবিতে যখন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন সেই গুলশানের বিএনপি কার্যালয় অবরুদ্ধ রাখার জন্য চারিদিকে বালুর ট্রাক, কাঠের ট্রাক রাখা হয়েছিলো। গোল মরিচের স্প্রে করা হয়েছিলো। তখন প্রবাসে থাকা দেশনেত্রীর ছোট সন্তান আরাফাত রহমান কোকো মা’র প্রতি এই অন্যায়, অবিচার সহ্য করতে পারেননি। এই কষ্টে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। লাশ দেশে আনা হলো গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ মায়ের কাছে। অবরুদ্ধ মায়ের কোলে সন্তানের লাশ দেখে শুধু খালেদার পরিবারই নয়, গোটা জাতি শোকে বিহবল হয়ে পড়ে। এত অত্যাচার, অবিচার, অনাচার শুধু খালেদা জিয়াকে দুর্বল করার জন্য।
তিনি বলেন, কোকোর মৃত্যু নিছক একটি মৃত্যুর ঘটনা নয়, বরং সামগ্রিক আন্দোলন, গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলন, জনগণের মুক্তি আন্দোলনে আত্মাহুতি। আমরা যদি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলে তার এই আত্মদান সার্থক হবে।