৫৫ বছর বয়সী লরা স্পিয়ার্স আমেরিকার ওকল্যান্ডের বাসিন্দা। পেশায় একজন নার্স। গত ৩১ ডিসেম্বর একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন লরা। লরার কাটা টিকিটের নম্বরটিই লটারির খেলায় সর্বোচ্চ পুরস্কারও পায়। তবে লরা নিজেই ভুলে গিয়েছিলেন টিকিটটির কথা। আসলে লরার কাছে লটারির সেই সংস্থা থেকে মেইলও এসেছিল। তবে স্প্যাম মেইলে সেটি চলে যাওয়ার কারণে তার নজর এড়িয়ে যায়। হঠাৎ করেই পুরোনো একটি মেইল খোজার জন্য মেইলের স্প্যামে ধোকেন। সেখানেই পেয়েছেন সেই জ্যাকপট মেইলটি। সাধারণত ই-মেইলের স্প্যাম ফোল্ডারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার প্রচারকেন্দ্রিক মেল জমা হয়। এই মেলগুলো আপনা থেকেই ঢুকে যায় সেই ফোল্ডারে। যাতে জরুরি ই-মেইল খুঁজতে ব্যবহারকারীর অসুবিধা না হয়।
তবে লরার সেই স্প্যাম ফোল্ডারেই লুকিয়ে ছিল ৩০ লাখ ডলারের লটারি জেতার খবর। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৫ কোটি টাকারও বেশি। লরা জানিয়েছেন, তিনি আগে কখনো লটারির টিকিট কাটেননি। বছরের শেষ দিনে হঠাৎ ঝোঁকের মাথাতেই ওই টিকিটটি কেটে ফেলেন। তিনি জানতে পারেন মিশিগান লটারির মেগা মিলিয়ন ড্রয়িংয়ে অনেকেই পুরস্কার পাচ্ছেন। তাই তিনিও একটা টিকিট কিনে ফেলেন।
প্রায় ১৫ দিন পরও ইনবক্সে কোনো মেইল না আসায় তিনি ভেবেছিলেন তার টিকিটটি হয়তো পুরস্কার জেতেনি। তাই সেই লটারির টিকিটের কথাও ভুলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করেই এক বন্ধুর কাজের প্রয়োজনেই পুরোনো মেইল খুঁজতে স্প্যাম ফোল্ডারে ঢুকেছিলেন লরা। এরপরই আবিষ্কার করেন তার লটারি জেতার ই-মেইলটি। লরার টিকিটের নম্বর ছিল ২-৫-৩০-৪৬-৬১। লটারি সংস্থা জানিয়েছে পাঁচটি নম্বরই মিলে যায় লাকি ড্রয়ে। যার ফলে লটারির সর্বোচ্চ পুরস্কার ৩০ লক্ষ ডলার পেয়ে যান লরা।
লটারির পাওয়ার পর তিনি কী করবেন জানতে চাওয়া হয়েছিল লরার কাছে। লরা বলেছেন, আগে আমার ই মেলের সেটিং বদলাব। যাতে ভবিষ্যতে আর লটারি জেতার খবর মিস না হয়ে যায়! মেগা মিলিয়নস জ্যাকপট শেষবার জিতেছিল ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর। সেখানে ১০৮ মিলিয়ন ডলারের লটারি জিতেছিলেন একটি পরিবার। সূত্র: ডেইলি মেইল