করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত দুই বছরে আমরা অনেকেই হারিয়েছি আমাদের প্রিয় মানুষকে। হয়তো একটু সচেতন থাকলেই এড়ানো যেতত অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটনা। যদিও আমাদের দেশে শনাক্তের হার অনেকটায়ই কমে গেছে। তবুও এখন নতুন শঙ্কার কারণ হলো ভাইরাসটির নতুন ধরণ ওমিক্রন। আমরা সচেতন না হলে দেশে যেকোনো সময় ছড়িয়ে যেতে পারে এ ধরনটিও। তাই আমাদের সবসময় সচেতন থাকা দরকার। করোনার ঝুঁকি কমাতে আমরা ঘরে রাখতে পারি কিছু জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামাদি। যেমন-
পালস্ অক্সিমিটার:এই যন্ত্রটি দিয়ে ব্লাড অক্সিজেন লেভেল দেখা যায় দ্রুত। আর করোনার রোগীদের বার বার ব্লাড অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করা উচিত। হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা আইসোলেশন অবস্থায় এটি ঘরে রাখা জরুরি। বিভিন্ন মেডিকেল স্টোরে পাওয়া যাবে গুরুত্বপূর্ণ এই যন্ত্রটি।
নেবুলাইজার মেশিন: নেবুলাইজার মেশিন দ্রুত ফুসফুসে সরাসরি অক্সিজেন সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হয়। করোনা রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে এ যন্ত্রটি দরকার হয়। বিভিন্ন মেডিকেল স্টোরসহ অনলাইনেও পাওয়া যায় এ ধরনের যন্ত্র।
ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মনিটর:এটি দিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়। দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিভিন্ন অনলাইন শপসহ মেডিকেল স্টোরগুলোতেত পাওয়া যায় এটি।
কনটাক্টলেস থার্মোমিটার: কনটাক্টলেস থার্মোমিটার হলো এমন একটি যন্ত্র যা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে শরীর তাপমাত্রা পরিমাপ করা যায়। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে থাকে। তাই ঘরে এই ধরনের থার্মোমিটার রাখা ভালো।
কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট: ঘরে রাখতে পারেন কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট। এটি দিয়ে দ্রুত পরীক্ষা করা যায় করোনা। ফলে দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া যায়। যেকোনো অনলাইন মেডিকেল শপ কিংবা সরাসরি দোকানে গিয়েও নিয়ে সংগ্রওহ করতে পারেন এটি। এছাড়াও ঘরে রাখতে পারেন ডায়বেটিস পরিমাক যন্ত্র, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পোর্টেবল অক্সিজেন ক্যানিস্টার এই ধরনের সরঞ্জামাদি।