শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন

ফরিদপুরে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি রসুন

বেলায়েত হোসেন লিটন বিশেষ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

ফরিদপুর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকদের  মাঠ এবং নিজ আঙ্গিনা থেকে প্রতি কেজি রসুন ৮-১০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখাগেছে। সেই রসুন হাট বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছরও  অনেক কৃষক রসুন চাষ করেছে বলে জানাগেছে।  আগামীতে যদি রসুনের দাম এভাবেই নিচের দিক নামতে থাকে,তা হলে কৃষকরা রসুন চাষ করবে না বলে গনমাধ্যম কে জানিয়েছেন। ফরিদপুর  জেলার নগরকান্দা, সালথা, মধুখালী, সদর উপজেলা, সদরপুর, চরভ্রাসন, ভাঙ্গা উপজেলায় খুব বেশী মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে পিয়াজ ও রসুনের আবাদ বেশি হয়। এর মধ্যে সদর উপাজেলার নর্থচ্যানেল, অম্বিকাপুর, মাধবদিয়া, ঈশান গোপালপুর, নগরকান্দা,সালথা ও ভাঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠ জুড়ে আবাদ করা হয় রসুন। গত বছর এ জেলায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছিল। এ বছরও রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্ত দাম নিয়ে শঙ্কার শেষ নাই। উল্লেখিত তথ্য, দৈনিক খবরপত্র কে  নিশ্চিত করছেন, সদর উপজেলার আদর্শ কৃষক সেকেন্দার মিয়ার ছেলে শওকত সেকেন্দার। তিনি আরো বলেন, কৃষকরা রসুন নিয়ে পড়ছেন মহাবিপাকে। নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান তালুকদার বাবুল বলেন উপজেলার বেশিরভাগই রসুনের চাষ হয়ে থাকে এই ইউনিয়নে পুরাতন রসুন এখন প্রতি মন  ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কৃষক হোসেন বলছেন, রসুন চাষ করে এখন লাভের মুখ দেখা তো দুরের কথা কামলা খরচই উঠছে না। চরমাদবদিয়ার কৃষক হাচান ফকির দৈনিক খবরপত্র কে বলেন,এ বছর তিনি ২ বিঘা জমিতি রসুন আবাদ করছেন। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০/৫৫ হাজার টাকা। দুই বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করছেন। ৪০ মন রসুন  পেতে পারেন, যা বিক্রি হবে প্রতি মন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মন দরে। সব মিলিয়ে রসুন চাষ করে ক্ষতি হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মত। নগরকান্দার কৃষক মাওলানা আব্দুল মান্নান মাতুব্বর  বলেন, এবার রসুনের দাম একেবারেই কম। পুরাতন রসুন তারা কিনেছেন মাত্র ৩০০ টাকা মণ ধরে। বাজারের সেরা রসুনের দাম পড়ছে মাত্র ৩৩০-৩৬০ টাকা। সদরপুরের ব্যাবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, সদরপুর বাজারে রসুন এবার পানির দামে বিক্রি হচ্ছে।তাছাড়া বাজারে এখন দেশী রসুনের কদর কম। কারন বিদেশী রসুন দেখতে বড় এবং লোভনীয় সেদিকেই মানুষের চাহিদা বেশী থাকছে। ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হযরত আলী দৈনিক খবরপত্র কে বলেন,চলতি বছর জেলায়, রসুন আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিলো ২ হাজার ৭৯০ হেক্টর। ফলনও ভাল হয়েছে। তবে রসুনের দাম যেভাবে কমছে তাতে কৃষকরা কষ্টের মুল্যও ঘরে তুলতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com