অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। ভারতের কাছে হেরে এ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। আজ ছিল পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে ১৭৫ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশের যুবারা। তবে এর মধ্যে আরিফুল ইসলামই করলেন ১০০ রান। অ্যান্টিগার কোলিডজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের সামনে রীতিমত কাঁপতে থাকে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন বাংলাদেশ কঠিন বিপর্যয়ের মুখে, তখন ওপেনার ইফতিখার হোসেনকে নিয়ে জুটি বাঁধেন আরিফুল ইসলাম। ৫০ রানের জুটি বাঁধার পর তারা বিচ্ছিন্ন হন। ৫৮ বল খেলে ২৫ রান করেন ইফতিখার। এরপর শুরু হয় আরিফুল ইসলামের একক লড়াই। এক প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়েছে, অন্যপ্রান্তে দৃঢ়তার সাথে ইনিংসকে আগলে রেখেছেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে এসএম মেহরাবকে নিয়ে ৩৬ রানের একটি জুটি গড়েছিলেন। মেহরাব ১৪ রান করে আউট হন। অন্য ব্যাটাররা শুধু আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন।
তবে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা রিপন ম-ল দৃঢ়তার পরিচয় দেন। ৭ রান করলেও তিনি মোকাবেলা করেছেন ২৮ বল। মূলত তার দৃঢ়তার কারণেই সেঞ্চুরিটা পূরণ করতে সক্ষম হন আরিফুল ইসলাম। ১১৯ বল খেলে ৫টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে তানজিম হাসান সাকিব আউট হতেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে এওয়াইজ আলি এবং মেহরান মুমতাজ নেন ৩টি করে উইকেট। জিশান জমির এবং আহমেদ খান নেন ১টি করে উইকেট। পরে ১৭৬ রানের জয়ের লক্ষে ব্যাট হাতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনারই তুলে নেন ১১৫ রান। এর মধ্যে হাসিবুল্লাহ খান করেন ৭৯ রান আর মোহাম্মদ শেহজাদের ৩৬ রান। এছাড়া ইরফান খান ২৫ ও আব্দুল ফাসিহ ২৪ রান করেন। অধিনায়ক কাসিম আকরাম আউট হন ১ রান করেই। ৪৬.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে রাকিবুল হাসান দুটি এবং নাঈমুর রহমান নেন একটি উইকেট। রান আউট ছিলেন একজন।