নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী শপথ নিয়েছেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী দেশের একমাত্র নারী এই মেয়র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শপথ বাক্য পাঠ করান।
গতকাল বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে নাসিকের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তৃতীয়বারের মতো শপথ নিলেন আইভী শপথ নেওয়ার জন্য সকালেই রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নির্বাচিত সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও ৩৬ জন কাউন্সিলর উপস্থিত হন।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পান ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচিত হন। ২৭ জানুয়ারি এ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
নারায়ণগঞ্জের সব এলাকায় পানযোগ্য পানির চাহিদা পূরণ করব: নারায়ণগঞ্জের সব এলাকায় পানযোগ্য পানির চাহিদা পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শপথ গ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আইভীকে শপথ বাক্য পাঠ করান। তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়া ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী শপথ নেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিটি করপোরেশনের কাজে সমন্বয়হীনতা দূর করতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানান। নারায়ণগঞ্জের সব এলাকায় পানযোগ্য পানির চাহিদা পূরণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। গত ১৬ জানুয়ারি নাসিকে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ওই নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নয় জন নির্বাচিত হন। ২৭ জানুয়ারি বিজয়ীদের গেজেট প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এর পর ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারে মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এক লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোটে আবার নির্বাচিত হন আইভী। ওই বার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।