আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছেন। বিসিবি তাকে জানিয়ে দিয়েছে, আপনিই এখন থেকে টিম বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব কাঁধে বর্তেছে জেমি সিডন্সের। অবশ্য দায়িত্ব প্রাপ্তির আগে বাংলাদেশে আসার পর থেকেই আলোচনায়, শিরোনামে জাতীয় দলের এ সাবেক হেড কোচ। কাজ শুরুর আগেই তাকে নিয়ে নানা কথা বার্তা। বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভোলপমেন্ট প্রধান এবং টিম বাংলাদেশের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জেমি সিডন্সকে সেরা ব্যাটিং কোচ বলেও অভিহিত করেছেন।
এছাড়া অন্য ক্রিকেটাররাও এ অস্ট্রেলিয়ানকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে পেয়ে পুলকিত। অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সিডন্সকে বড় কোচ বলে মানছেন। তবে এ নতুন ব্যাটিং কোচ সম্পর্কে সবচেয়ে মজার কথা জানিয়েছেন পেসার তাসকিন। জেমি সিডন্সকে কতটা চেনেন তিনি? তার কোচিংয়ে খেলেছেন কখনো?
এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন জানান জেমির কোচিংয়ে তার খেলা হয়নি। কী করে হবে? তাসকিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০১৫ সালে। আর এ অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশের হেড কোচ পদ ছেড়েছেন ২০১১’র বিশ্বকাপের পরপরই। গতকাল শনিবার বিকেলে বিসিবি একাডেমি মাঠে ব্যাটিং কোচ সিডন্স সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আমি যখন অনূর্ধ্ব ১৫-১৬ খেলতাম তখন উনি (সিডন্স) কোচ ছিলেন।’
তবে এটা খুব ভাল জানা যে, দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা জেমির অধীনে খেলেছেন। তাই মুখে এমন কথা, ‘সাকিব ভাই, তামিম ভাই তার (জেমির) আন্ডারে খেলেছে। অবশ্যই এক্সাইটেড। আমিও তার আন্ডারে খেলবো।’ পিঠের ব্যাথা মুক্ত হয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে জায়গা পেতে মুখিয়ে তাসকিন। চলছে অনুশীলন। তবে কোচ ছাড়া। এ মুহূর্তে কোন বোলিং কোচকেই পাশে পাননি এ ফাস্ট বোলার। ‘এখন বিপিএল চলছে, আমাদের সব কোচরাই এখন ব্যস্ত। এখন একাই মার্কার দিয়ে স্পট বোলিং, নিজে যা জানি সেগুলো নিয়েই কাজ করতেছি। আমার এখন প্রধান লক্ষ্য, ফিটনেস। সেটা নিয়েই কাজ করতেছি। ব্যাথা ছাড়া বোলিং করতে পারতেছি। এটা আমার জন্য অনেক কিছু। আর বোলিংয়ে নিজের ব্যাসিক জিনিস নিয়েই কাজ করতেছি।’