মনসুর আহাম্মেদ, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী হাটে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব, প্রশাসনের নিরব ভুমিকা জনমনে দেখা দিয়েছে শংকা৷করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার প্রণিত সামাজিক দূরত্ব ও ঘরে থাকার আইন অমান্য করেই যথারীতি বসেছে সাপ্তাহিক হাট৷যাদুরাণী হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসে ক্রেতা-বিক্রেতারা৷দোকান পাঠ খোলা থাকতে মানুষের ভীড় থাকছে চোখে পড়ার মতো৷
মঙ্গবার (২৬ মে) সকালে উপজেলার যাদুরাণী হাট ঘুরে দেখা যায়, অযথা মানুষের ঘোরাফেরার চিত্র, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চলছে পূর্বের মতই মানুষের আড্ডা। তাছাড়া, প্রতিনিয়ত হাটে রড-সিমেন্ট ও হার্ডওয়্যারের দোকানগুলোতে চলে নিয়ম বহির্ভূত বেঁচাকেনা। যদিও সরকারের লকডাউনের আওতায় থাকছে এই দোকানগুলো। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতাকেও মানুষ তোয়াক্কা করছে না।
সচেতনদের দাবি- অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানতে অনীহা প্রকাশ করছে, এতেকরে প্রশাসন আরও কঠোর হওয়া উচিত বলে মনেকরেন তারা। এমনিতেই জেলার উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়ার আগেই মানুষকে ঘরে রাখতে আরো কঠোর হতে হবে প্রশাসন কে৷ যাদুরাণী হাটে ঘুরে দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, অনেকেই মুখে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছে। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সুকৌশলে বাড়ীফেরা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে উপজেলা প্রশাসন হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামুলক করলেও, তাদেরকে ঘরথেকে হাট-বাজারে আসা রোধ করা যাচ্ছে না।
যাদুরাণী হাট ইজারাদার মোঃ আব্দুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুঠোফোনে ১২:৩১ মিনিটে এ কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,হাটের বন্ধের নিষেধাজ্ঞা অভার করে দুই হাট হয়ে গেছে৷আজ তৃতীয় হাট। হাটটা ক্ষুদ্র পরিসরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সত্যে এরকম নানান কিছু বলা আছে। এখন হাট কমিটি কতটুকু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পেরেছে সেটি দেখার বিষয়। আপনি থানার ওসিকে ফোন দেন উনারা গিয়ে দেখে আসুক।
হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিরুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করতে দুপুর ২:২১ মিনিটে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ডা. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম এর সাথে যোগাযোগ করতে দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি৷
এমআইপি/প্রিন্স