কাচা মরিচের ঝাল রসগোল্লা বরিশালের বাজারে প্রথমদিনেই মিস্টি ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। বাজারে নতুন এই মিস্টির আবির্ভাব সৃষ্টি কারী নগরীর সদররোডস্থ সকাল সন্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডার। বাজারে সাধারনত ক্রেতারা কিনে থাকেন সরমালাই, ক্ষিরমালাই, রসমালাই, পেষ্টিমালাই, গাজরের হালুয়া, স্পেশাল চমচম, ক্ষির কালাজাম, ক্ষির চমচম, কমলাভোগ সহ বিভিন্ন নামের মিস্টি। বুধবার (২৩ই) জানুয়ারী সন্ধায় ক্রেতাদের মাঝে সকাল সন্ধা মিষ্টন্ন ভান্ডার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু এই কাচা ঝাল সংমিশ্রিত রসগোল্লা বরিশাল নগরীতে বাজার জাত করে একরকম আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রথমদিনেই যারা এই রসগোল্লার স্বাদ গ্রহন করেছে তাদের মুখ থেকে সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার থেকে নতুন এই এই কাচা ঝাল রসগোল্লার স্বাদ গ্রহন করার জন্য সকাল সন্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডারে সন্ধার পরথেকে বিভিন্নস্থান থেকে ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করে। পিছনে এসময় রসগোল্লার তৈরীর প্রস্তুতি কাজ করছেন রসগোল্লার কারিগররা। অন্যদিকে ক্রেতারা নতুন এই রসগোল্লা ক্রয় করার জন্য কেহ কেহ সামনে ও দোকানে অর্ডার দিয়ে গরম গরম রসগোল্লা নিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করতেও দেখা যায়। এসময় কয়েকজন ক্রেতার সাথেও আলাপকালে তারা বলেন বুধবার পরিক্ষামূলক বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে থেকে এই রসগোল্লার স্বাদ গ্রহন করে বেশ ভালোই লেগেছে। তারা বলেন এমনিতেই আমরা সবসময় মিষ্টি খেয়ে থাকি তার মধ্যে ছানা দ্বারা তৈরী এই রসগোল্লাটি ছানার পাশাপাশি কাচা মরিচের ঝাল দিয়ে তৈরী করার কারনে নতুন একটি স্বাদ এনেছে। এব্যাপারে সকাল সন্ধা মিষ্টন্ন ভান্ডারের পরিচালক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু আজকের পরিবর্তনকে বলেন, কাচা ঝাল দ্বারা তৈরী রসগোল্লাটি দেশে একমাত্র কুমিল্লায় প্রথম তৈরী করে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমিই প্রথম বরিশালে তৈরী করে বাজারে ছাড়ার পর বেশ নগরীতে সাড়া পড়ে গেছে। তিনি বলেন প্রতিটি মানুষকে চিকিৎসকরা সবসময় প্রতিদিন ২ থেকে ৩টি কাচা মরিচ খাওয়ার জন্য হার্ডের রোগিদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এখানে অনেকেই এভাবে কাচা মরিচ খাওয়ার অভস্থ অনেকেরই নাই। তাই এই রসগোল্লার মধ্যে কাচা মরিচের সেই স্বাদ আনার একটু চেষ্টা করছি ক্রেতাদের জন্য। তিনি আরো বলেন এই রসগোল্লা তৈরীতে খাটি ছানা ও সুগারের পাশাপাশি ভেলেন্ডার দ্বারা কাচা মরিচ মিশ্রিত করা হয় পরবর্তীতে ইলেকট্রিক্যাল মেশিনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ রসগোল্লা তৈরী করা হয়। আলাপকালে বিশু আরো জানায় প্রথম দিনেই তার ত্রিশ কেজি মিষ্টি বিক্রি হয়েছে যা অন্য কোন নামি-দামী মিষ্টি থাকা সত্বেও তা বিক্রি হয়নি।