দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। গতকাল শুক্রবার (৪ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় বিরোধী দলীয় উপনেতা এসব কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, হঠাৎ করেই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষকে বিপাকে ফেলেছে সরকার। ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম এক লাফে ১২৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩৯১ হয়েছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির কারণে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমন বাস্তবতায়, গ্যাসের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় প্রতি কেজি চালের দাম ছিলো ৮ থেকে ১০ টাকা। গেলো ৩১ বছরে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়ে বর্তমানে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পল্লীবন্ধুর সময় যে সয়াবিন তেল ২০ থেকে ২৫ টাকা লিটার বিক্রি হয়েছে এখন তা ২১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার ৭ থেকে ১০টাকা লিটার থেকে এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার পেট্রোল। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যে সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ছিলো ১০৪ টাকা তার বর্তমান মূল্য ২১০ টাকা। এভাবে তিন বছরে প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, আটা ২৮ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা, মসুর ডাল ৫৫ থেকে বেড়ে ১০৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতিতে জিএম কাদের আরো বলেন, রান্নার জন্য পাইপ লাইনের গ্যাসের বর্তমান মূল্য ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করতে প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম ৬৬ থেকে ৭৯ শতাংশ বাড়াতে প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে পানির দাম ২০ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো কার্যকর হলে এর প্রভাবে সকল ধরণের দ্রব্য ও সেবার মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধি পাবে। এমন প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে হাহাকার উঠবে দেশের ৯০ ভাগ ঘরে। পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে টিসিবির গাড়ির সামনে লম্বা লাইন দিন দিন বাড়ছে। এরই মাঝে ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।