রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জামালপুর জেলার তিন হাজার প্রান্তিক পরিবারকে উন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে ইসলামপুরে সিডস কর্মসূচির অবহিতকরণ সভা কে হচ্ছেন নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেশবপুরে সংবাদ সম্মেলন চিলাহাটি প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক মেয়াদের কমিটি গঠন বদলগাছীতে কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ উলিপুরে ইউড্রেনের দুই পাশের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দিত কালীগঞ্জে সরকারি স্থান থেকে ফুলের হাট স্থানান্তর: বিপাকে প্রতিবন্ধী ইজারাদার পিআইবি,র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলো নগরকান্দা ও সালথার সাংবাদিক বৃন্দ গজারিয়া স্বপ্নপূরণে ছেলেকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করালেন স্কুলশিক্ষক বাবা বরিশালে প্রচন্ড তাপদাহে বাড়ছে তালপাখার চাহিদা

লিভ টুগেদার করা ১৩৫০ যুগলকে স্টেডিয়ামে এনে গণবিয়ে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২

তারা মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছেন। ভালোবেসে থাকছেন এক ঘরে। স্বামী-স্ত্রীর মতো মিলেমিশে বইছেন জীবন-সংসার। তবু তারা স্বামী-স্ত্রী নন। কারণ, তাদের যে সম্পর্কের দলিল হয়নি। সমাজ তাই নিন্দা করে। সরকারের নানা সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকা এমন যুগলের সংখ্যা কম নয়। তাদের কেউ কেউ অর্থনৈতিক সমস্যায়, কেউবা নিছক আলস্যে বিয়ের সার্টিফিকেটটা নেননি। ফলে নানা সমস্যায় পড়ছিলেন। এমন প্রায় এক হাজার ৩৫০ যুগলের সমস্যার দিন ফুরালো। ওই যুগলদের বসবাস ভারতের ঝাড়খ-ে। জেলা প্রশাসন ও একটি এনজিওর উদ্যোগে অবশেষে তাদের বিয়ে হয়েছে। স্টেডিয়ামে এক গণবিয়ের আসরে একসঙ্গে তাদের বিয়ে হয় বলে জানা গেছে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে।
জানা গেছে, বিরসা মুন্ডা ফুটবল স্টেডিয়ামে রীতিনীতি মেনেই এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ বিকাশ বিভাগের সচিব এন এন সিনহা। এই বিষয়ে এন এন সিনহা জানান, অনেকেই অর্থনৈতিক সমস্যায় বা অন্যান্য কারণে বিয়ে করতে পারেন না। আর সেই কারণে বিয়ে ছাড়াই একসঙ্গে থাকতে বাধ্য হন তারা। আর শুধু তাই নয়, দাম্পত্য সম্পর্ক ছাড়া তাদের সমাজেও স্বীকৃতি পেতে অসুবিধা হয়। তাছাড়া এর ফলে সরকারি প্রকল্পগুলোর সুবিধাও পান না তারা। জেলাশাসক শশী রঞ্জন জানান, এই নবদম্পতিদের সমস্ত কল্যাণমূলক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি তাদের বিবাহের রেজিস্ট্রেশনও সুরক্ষিত করা হবে। আগামী দিনে তাদের রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, এই বিয়ের আয়োজন সামাজিক উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছিল বলে জানান এনজিওর সচিব নিকিতা সিনহা। তিনি আরো জানান, ঝাড়খ-ের প্রত্যন্ত গ্রামের ধুকু দম্পতিরা লিভ-ইন রিলেশনে থাকতে বাধ্য হন এবং নিজেদের সমাজ থেকে দূরে থেকে অনেক সমস্যার সম্মুখীনও হন। মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান প্রকল্পের সুবিধাও তারা পান না। এর আগেও এই এনজিও এমন ধরনের আয়োজন করেছে। বিয়েতে নবদম্পতিদের হাতে পোশাক, বাসনপত্র বিভিন্ন জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com