মিডিয়াকে সাথে নিয়ে নীলফামারীর পরিবর্তন ঘটাতে চান জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। বলেন, প্রশাসন ও মিডিয়া অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। সমন্বিত ভাবে কাজ করতে না পারলে সফল হওয়া যাবে না। এজন্য প্রশাসন যেমন মিডিয়াকে সহযোগীতা করবে তেমনি গণমাধ্যম কর্মীরাও প্রশাসনকে সহযোগীতা করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক(ডিসি) খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) আব্দুর রহমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাংবাদিকরা এ সময় নীলফামারীতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, বিভিন্ন দফতরে সেবার মান আরো বাড়ানো এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রামডাঙ্গা ফরেস্ট ও চিলাহাটি ফরেস্টকে ব্যবহারে সক্ষমতা যাচাইয়ের উপর গুরত্ব দেন। নীলফামারী প্রেসক্লাব সভাপতি তাহমিন হক ববি, সাধারণ সম্পাদক হাসান রাব্বী প্রধান, সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান, ভুবন রায় নিখিল ও ইসরাত জাহান পল্লবী, কার্যনির্বাহী সদস্য মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, দফতর সম্পাদক নূর আলম, অর্থ সম্পাদক শীষ রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, প্রতি কাজের সাথে মিডিয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে। মিডিয়ার ফলে আমরা যেমন ভালোটা জানতে পারি আবার মন্দটাও জানতে পারি। বলা যায় মিডিয়ার কারণে বিভিন্ন বিষয়ের উপর পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ থাকে। আমি চাইবো যাতে সম্মিলিত ভাবে ‘টিম নীলফামারী’ হয়ে নীলফামারীকে গোটা দেশের মধ্যে তুলে ধরা যায়। অতীতে মিডিয়ার সহযোগীতার কারণে সরকারের উচ্চ মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে নীলফামারী। প্রসঙ্গত গত ১৬জানুয়ারী নীলফামারীতে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। এরআগে কৃষিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে জেলা প্রশাসক হিসেবে তাকে নীলফামারীতে পদায়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়।