কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলার বঙ্গবন্ধু পাগল মুক্তিযোদ্ধা শেখ ছৈয়দ আলম স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে ও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম উঠাতে পারেনি। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এ মুক্তিযোদ্ধা জীবনের শেষ ইচ্ছা পূরণে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা শেখ ছৈয়দ আলম(৮২) উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ছাতি পাড়া এলাকার মৃত ছফদার আহমদের ছেলে। জানা যায়, ১৯৭১ সাথে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রধান থেকে শুরু করে জেলা আওয়ামীলীগের সেচ্ছাসেবক বাহিনীতে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দীর্ঘদিন দ্বায?িত্ব পালন করেন।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে প্রায় ১০ বছর পাগলের মত জীবন যাপন করেন এই বঙ্গবন্ধু পাগল মুক্তিযোদ্ধা শেখ ছৈয়দ আলম। ২০১৭ সালে উপজেলা, জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে যাবতীয় তথ্যাদি দেওয়ার পরও বাদ পড়ে যায় মুক্তি যোদ্ধা ছৈয়দ আলমের নাম। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর আপিল আবেদন করেন তিনি। যার ক্রমিক নং -৬৩৭২। পৈত্রিক ভিটায় টিনের ছাউনির বাঁশের বেড়ার ঘরে বার্ধক্য জনিত কারণে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ছৈয়দ আলম। দুঃখের বিষয় ঈদগাঁও উপজেলায় অনেক ভুয়া,অমুক্তিযোদ্ধা ও গেজেটে নাম লিখিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেছে। কিন্তু সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধা শেখ ছৈয়দ আলম অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ছৈয়দ আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক তাকে মুক্তি যোদ্ধাদের গেজেটে নাম লিখা , চিকিৎসা সহায়তা এবং পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার জন্য প্রধান মন্ত্রীর দেয়া ঘর ।এ সপ্ন দেখেই তিনি মৃত্যুর প্রহর গুনছেন ।