চর শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলালের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই রাস্তার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ১১ টি ইউক্লিপ্টার গাছ কর্তন করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ১৩ মার্চ রবিবার সৌহার্দ্য সংঠনের পক্ষে সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রৌমারী উপজেলার ৬ নং চরশৌলমারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পাখিউড়া চৌরাস্তার মোড় হতে দক্ষিন দিকে পূর্ব খেদাইমারী রাস্তায় ২৫ বছর আগে ইউক্লিপ্টার, রেন্ট্রি কড়াই ও মেহগণিসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করা হয়। বর্তমানে প্রতি গাছের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে মোট প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল কোন রেজুলেশন বা সংগঠনের কাউরো অনুমতি ছাড়াই পাখিউড়া মোড়স্থ্য সো-মিল মিস্ত্রী কাঠ ব্যাবসায়ী নজিরের মাধ্যমে ১১ টি গাছ কর্তন করেছেন এবং নজির এ গাছ গুলি সো-মিল থেকে নিজেই মারাই করে দেন। ১৮ ফেব্রুয়ারী গাছ গুলি কর্তন করেন। নজিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পূর্ব খেদাইমারী গ্রামের শাপ্তানি জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না। কয়েটা গাছ কেটে নিয়েছে জানি না। তবে একটা গাছ কাটতে আমি দেখেছি। ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, আমার ওয়ার্ডে গাছ কর্তন করেছেন, অথচ গাছ কর্তনের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। কুড়িগ্রাম বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বরত ফরেস্টার ইকবাল হোসেনকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, ফরেস্ট বিভাগের রাস্তা নয়। তাই আমি গাছ কর্তন বিষয়ে জানিনা। গাছ কর্তন বিষয়ে অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুদ্দিনকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, এ রাস্তায় ২৫ বছর আগে সৌহার্দ্য এনজিওর সমিতির মাধ্যমে গাছ গুলি লাগানো হয়েছে এবং আমরা এ গাছের অংশিদার। আমি এই সমিতির সহ-সভাপতি। সভাপতির অসুস্থ্যতার কারনে কিছু বলতে পারে না। গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অবৈধ ভাবে গাছ কর্তনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এসব গাছ কর্তনের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যন সাইদুর রহমান দুলালকে জানালে তিনি জানান, এগুলো অংশিদারী গাছ। সরকারী বা খাস জায়গায় নয়। পশ্চিম খেদাইমারী রাস্তায় এলজিএসপির ২ লাখ টাকার বরাদ্দে একটি কাঠের ব্রীজ নির্মান করা হ”্ছ।ে এতে কাঠের প্রয়োজনীয়তায় ৩ টি ইউক্লিপ্টার গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। তবে রেজুলেশনের জন্য সকল মেম্বারদের সহি নেয়া হয়েছে। লেখা হয়নি। তবে ১১টি গাছ কর্তনের কথা বলা হয়েছে তা সত্য নয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।