বিএডিসি বীজ ডিলার থেকে সার ডিলার নিবন্ধনে গড়িমসি,সারবীজ মনিটরিং কমিটিতে প্রতিনিধি যুক্ত না করার প্রতিবাদে নড়াইলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার দুপুরে শহরের রুপগঞ্জস্থ অভিলাষ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএডিসি বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার সায়েদ আলী শান্ত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক বাকিউল আজম খান,কোষাধ্যক্ষ প্রবীর বিশ্বাস, বীজ ডিলার লোহাগড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র বিশ্বনাথ দাস,ডিলার শফিকুল ইসলাম, লিটন সাহা প্রমূখ। লিখিত বক্তব্যে জেলা বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার সায়েদ আলী শান্ত বলেন,বিহত ২২/০৩/২০১০ তারিখে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), ঢাকার পরিচালক পর্ষদের ৫ম সভায় সিদ্ধান্ত হয় দেশের বিভিন্ন জেলায় অবশিষ্ট বীজ ডিলার হতে জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সুপারিশ পত্রের ভিত্তিতে বিএডিসি’র সার ডিলার হিসেবে নিবন্ধন প্রদান করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক যথাসময়ে নড়াইল জেলার বীজ ডিলারগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সার ডিলারশীপ পাবার জন্য আবেদন করেন।কিন্তু দীর্ঘ এক যুগ কেটে গেলেও আমাদের বিএডিসি’র সার ডিলার হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হয়নি।যতবারই জেলা সারবীজ মনিটরিং কমিটিতে আমাদের আবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে,ততবারই প্রয়োজনীয় সার ডিলার নড়াইলে আছে এবং অতিরিক্ত ডিলার দিলে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে এই মনগড়া অজুহাতে আমাদের ন্যায্য দাবিকে প্রত্যাখান করা হয়েছে।যা অত্যন্ত দু:খজনক।জেলার ৩৯টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় মোট ৪২জন বিসিআইসি’র সার ডিলারের মধ্যে বিএডিসি’র বীজ ডিলার থেকে সার ডিলার হয়েছেন মাত্র ৩জন। বিসিআইসি’র ডিলাররা ইউরিয়া এবং বিএডিসি’র ডিলাররা শুধুমাত্র বিএডিসি আমদানীকৃত নন ইউরিয়া সার উত্তোলনের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকেন।সারা দেশে বিএডিসি’র সার ডিলাররা নন ইউরিয়া সার বিক্রি করতে পারলেও নড়াইলে বিএডিসি’র ডিলাররা নন ইউরিয়া সার বিক্রি করতে পারেন না।তারা শুধু বীজ বিক্রি করতে পারেন।আমরা অনতিবিলম্বে ২০১০ সালের সুপারিশপত্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাদের বিএডিসি’র বীজ ডিলারদেরকে সার ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেয়াসহ জেলা সারবীজ মনিটরিং কমিটিতে প্রতিনিধি অর্ন্তভূক্ত করার জোর দাবি জানচ্ছি।